নিবন্ধন ছাড়া কোনো উদ্যোক্তা অনলাইন ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন না। ই-কমার্স উদ্যোক্তাকে ডিজিটাল বিজনেস আইডেন্টিটি (ডিবিআইডি) নিবন্ধনের জন্য আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। ব্যবসায় জবাবদিহি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এসএমই ফাউন্ডেশন আয়োজিত ওয়েবিনারে এসব তথ্য জানানো হয়।
জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা এবং জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকার আলোকে গত ২৯ জুন ডিবিআইডি নিবন্ধন নির্দেশিকা জারি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, নির্দেশিকা জারির ৯০ দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে আবেদন করতে হবে। ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠান এক বছর পর্যন্ত বিনামূল্যে আবেদন করতে পারবে, এর পর থেকে ফি দিতে হবে। নতুন উদ্যোক্তাকে ওয়েবসাইট বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পেজ চালু করে আবেদন করতে হবে। নিবন্ধনের লক্ষ্য হলো প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহি নিশ্চিত করা, প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রকারভিত্তিক তালিকা তৈরি এবং প্রচলিত আইন মেনে চলা প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি।
আবেদনকারীকে এনআইডি দাখিল করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স ও আরজেএসসি নিবন্ধন নম্বর থাকলে দিতে হবে। ভ্যাট নিবন্ধন ও ইটিআইএন থাকলে সেগুলোও দাখিল করতে হবে। যাচাই-বাছাই শেষে সনদ প্রদান করবে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ। যঃঃঢ়ং://ৎড়প.মড়া.নফ ওয়েবসাইটে লগইন করে আবেদন করা যাবে।
ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক মো. মাসুদুর রহমান। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মফিজুর রহমান। মাসুদুর রহমান বলেন, যে উদ্যোক্তারা আইন মেনে ব্যবসা করতে চান, তাঁদের জন্য নিবন্ধন খুবই ভালো উদ্যোগ। হাফিজুর রহমান বলেন, দেশে আড়াই হাজারের বেশি ওয়েবসাইট এবং প্রায় তিন লাখ ফেসবুক পেজের মাধ্যমে অনলাইন ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে। অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পক্ষে ট্রেড লাইসেন্স, আরজেএসসি নিবন্ধন, ইটিআইএন বা ভ্যাট নিবন্ধন নেওয়া সম্ভব হয় না। সে কারণে ডিবিআইডি থাকলে ক্রেতাদের আস্থা অর্জন সহজ হবে।