যুক্তরাজ্যে রেকর্ড তাপমাত্রা

যুক্তরাজ্যে রেকর্ড তাপমাত্রা

রেকর্ড তাপপ্রবাহের মধ্যে যুক্তরাজ্যে দেখা দিয়েছে একাধিক দাবানল। লন্ডনে ফায়ার সার্ভিসের চারশতাধিক কর্মী মঙ্গলবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া অন্তত ৯টি দাবানলের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। পরিস্থিতি চরম নারকীয় বলে উল্লেখ করেছেন তারা। খবর বিবিসির।

ফায়ার ব্রিগেড বলছে, শহরের বিভিন্ন স্থানে কয়েক ডজন অগ্নিনির্বাপক ইঞ্জিন মোতায়েন করা হয়েছে। পূর্ব লন্ডনের গাছপালায় লাগা আগুন নেভাতে অন্তত ৩০টি ইঞ্জিন পাঠানো হয়েছে। যে কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে বাসিন্দাদের যোগাযোগ করার আহ্বান জানিয়েছে ফায়ার ব্রিগেড।

সোমবার সেখানে গরমের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা হয়েছিলো।

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরের কাছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ধরা পড়েছে। ৪০ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল তাপমাত্রা। দুপুরের পর তা আরো বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল।

শুধু তা-ই নয়, বুধবার তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। হাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের পূর্বাভাস কোনো কোনো এলাকায় তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

হিথরো ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছোঁয়ার আগে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চার্লউডে, ৩৯ দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ছিল ৩৮ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৯ সালে ওই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।

যুক্তরাজ্যের হাওয়া অফিস জানিয়েছে আগামী দুই-একদিনের মধ্যে তাপমাত্রা ক্রমশ স্বাভাবিকের দিকে যাবে। তবে জাতিসংঘের আবহাওয়া সংক্রান্ত সংস্থা জানিয়েছে, আরো এক সপ্তাহ এমন পরিস্থিতি থাকবে। বস্তুত, ম্যাঞ্চেস্টারের দক্ষিণাংশ পর্যন্ত তাপমাত্রা এমনই থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।

চরম তাপপ্রবাহের কারণে রেললাইনগুলো অতিরিক্ত গরম হয়ে গেছে। এ কারণে কিছু ট্রেনের শিডিউল বাতিল করা হয়েছে। কিছু স্কুলে আগাম ছুটি দেওয়া হয়েছে।

সড়কগুলোয় জমে থাকা বরফ গলে যাওয়া ঠেকাতে সেখানে বালু ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ব্রিটিশ অটো মোটিভ সার্ভিসেস কোম্পানি আরএসি সতর্ক করেছে, গাড়িগুলো আরও গরম হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় আরও বেশি করে চালকদের সহযোগিতা করা প্রয়োজন।

আন্তর্জাতিক