উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে জীবনযাত্রার মান ঠিক রাখতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে সীমিত আয়ের মানুষেরা। তাই খরচ বাড়লে সঞ্চয়ে টান পড়ে। আর বাড়তি বা বিকল্প আয়ের উৎসগুলো সংকুচিত হলে বিপদ আরও বাড়ে।
সরকারি হিসাবে দেশে মূল্যস্ফীতির হার এখন ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, যা গত ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। মূল্যস্ফীতির হারের চেয়ে জাতীয় মজুরির হার এখন কম। অন্যদিকে সঞ্চয়পত্রে মানুষের নিট বিনিয়োগও অর্ধেক হয়ে গেছে। সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে সংসারের খরচ সামলান অনেকেই। আবার শেয়ারবাজারের পতন হচ্ছে দিন দিন। ফলে বিনিয়োগকারীরা আছেন লোকসানে। এদিকে ব্যাংক খাতে আমানতও সেভাবে বাড়ছে না। এ শ্রেণিকে সুরক্ষা দেওয়ার কোনো উপায় সরকারের তরফ থেকে নেওয়া হচ্ছে না।
সব মিলিয়েই করোনার সময় থেকেই মানুষের সঞ্চয় কমে গেছে। আর এ অবস্থা শুধু ব্যক্তিপর্যায়ের নয়, জাতীয়ভাবেও একই সমস্যা। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২২ অনুযায়ী, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় দেশজ সঞ্চয় কমে আসছে। অর্থাৎ জিডিপি যে হারে বাড়ছে, সঞ্চয় সেভাবে বাড়ছে না। ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশজ সঞ্চয় ছিল ২৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে তা কমে হয়েছে ২১ দশমিক ৫৬ শতাংশ।