নাজনিন খাতুন (ছদ্মনাম)। চার বছর জামালপুরের একটি সরকারি মাধ্যমিকে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি করছেন। শ্বশুরবাড়ি ঢাকায় হওয়ায় দেড় বছর আগে তিনি বদলির আবেদন করেন। এরপর দিন-মাস-বছর পেরিয়ে গেলেও শিক্ষা ভবনে ধর্ণা দিয়ে চলেছেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো বদলি হতে পারেননি।
|আরো খবর
বাংলাদেশ জার্নালকে তিনি বলেন, আমার ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে জামালপুরে ভাড়া বাসায় থাকতে হয়। স্বামীর কর্মস্থল ও বাড়ি ঢাকায় হওয়ায় সেখানেই তিনি অসুস্থ শাশুড়িকে নিয়ে থাকেন। এর ফলে পারিবারিক নানা টানাপোড়েন চলছে। বদলির জন্য অনেক ঘুরেছি। আমার প্রয়োজন উপলব্ধি করে কর্মকর্তারা অনেক বার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু কোনো ফল আসেনি। নিজের পেশা ও পারিবারিকভাবে আমি অনেক কষ্টে আছি।
আফরোজা জান্নাত (ছদ্মনাম)। দুবছর শিক্ষকতা করছেন। রাজশাহীতে যোগদান করলেও রাজধানী ঢাকায় আসতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি। তার স্বামী মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তা হওয়ায় আবেদন করেই ঢাকার একটি স্কুলে বদলি হয়ে এসেছেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে স্কুল পর্যায়ে শিক্ষক বদলির নিয়মিত অসম চিত্র এমনই। এখানে যার টাকা আছে, ক্ষমতা ও প্রভাব রয়েছে তিনিই পছন্দের স্কুলে পোস্টিং পাচ্ছেন। আর যার এই ক্ষমতা নেই, তিনি মাসের পর মাস দপ্তরের এ রুম থেকে ও রুম ঘুরেই চলেছেন।বিস্তারিত