গোপন নথি টয়লেটে ফ্লাশ করে দিতেন ট্রাম্প

গোপন নথি টয়লেটে ফ্লাশ করে দিতেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গুরুত্বপূর্ণ কিছু গোপন নথি টয়লেটে ফ্লাশ করে দিয়েছেন। এমন দুটি ছবি গতকাল সোমবার প্রকাশ করেছেন ম্যাগি হ্যাবারম্যান নামের নিউইয়র্ক টাইমসের একজন প্রতিবেদক। এই ছবিগুলো তার নতুন বই ‘কনফিডেন্স ম্যান’-এ প্রকাশ করতে যাচ্ছেন তিনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সদ্য প্রকাশিত নতুন দুটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ট্রাম্প সম্ভবত কিছু গুরুত্বপূর্ণ অথবা গোপন নথিপত্র টয়লেটে ফ্লাশ করে দিয়েছেন। সেগুলো ঠিক কার লেখা বা কাকে উদ্দেশ্য করে লেখা সে বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়। তবে কালো মার্কারে হাতের লেখা ট্রাম্পের হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ম্যাগি হ্যাবারম্যান গণমাধ্যমকে জানান, সদ্য প্রকাশিত দুটি ছবির একটি হোয়াইট হাউসের টয়লেট থেকে তোলা এবং আরেকটি বিদেশ সফরের সময় তোলা, যা হোয়াইট হাউস সূত্রে তিনি পেয়েছেন।

ওই প্রতিবেদক বলেন, ‘কে জানে সেই কাগজগুলো কীসের? তিনিই (ট্রাম্প) বলতে পারেন অথবা যিনি বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো এটি একটি রেকর্ড।’

প্রতিবেদন অনুসারে, ট্রাম্প কোনো রেকর্ড সংরক্ষণ করতে চাইতেন না। এর আগে ছবিগুলো মার্কিন নিউজ ওয়েবসাইট অ্যাক্সিওসে প্রকাশিত হয়েছিল।

এর আগে সিএনএনের বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প অনেক সময় অফিসিয়াল নথিপত্র পড়ার পর ছিঁড়ে ফেলতেন। তিনি হোয়াইট হাউসে থাকার সময়ও গুরুত্বপূর্ণ নথি টয়লেটে ফেলে ফ্লাশ করে দিতেন। টয়লেটের পাইপে সেসব কাগজ আটকে গেলে তিনি মিস্ত্রি ডেকে তা ঠিক করে নিতে বলতেন।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নিউজ ওয়েবসাইট অ্যাক্সিওসে পাঠানো বার্তায় তার মুখপাত্র বলেছেন, সেসব প্রতিবেদনে বাড়িয়ে বলা হয়েছে।

সিএনএন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার পাম বিচে ট্রাম্পের বিলাসবহুল ‘মার-এ-লাগো’ রিসোর্টে সোমবার তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এফবিআই) গোয়েন্দারা। এই অভিযান তার দাপ্তরিক কাগজপত্র ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে জানা গেছে।

ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্প ক্ষমতা ছাড়ার সময় হোয়াইট হাউজ থেকে কয়েকটি বাক্সে করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কাগজপত্র ফ্লোরিডায় নিয়ে গিয়েছিলেন, এমন অভিযোগের তদন্ত করতেই তার বাড়িতে গিয়েছিলেন এফবিআই এজেন্টরা।

আন্তর্জাতিক