নারীরা পর্নোগ্রাফির, পুরুষরা হ্যাকিংয়ের শিকার: গবেষণা

নারীরা পর্নোগ্রাফির, পুরুষরা হ্যাকিংয়ের শিকার: গবেষণা

সাইবার অপরাধের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি হয়রানি ও পর্নোগ্রাফির শিকার হচ্ছেন নারীরা।

আর সাইবার অপরাধের ভূক্তভোগী পুরুষদের মধ্যে বেশিরভাগই মোবাইল ব্যাংকিং ও এটিএম কার্ড হ্যাকিংয়ের শিকার হচ্ছেন।

আর অনলাইনে পণ্য কিনতে গিয়ে পুরুষদের তুলনায় নারীরা বেশি প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের (সিসিএ ফাউন্ডেশন) ‘বাংলাদেশ সাইবার অপরাধ প্রবণতা-২০২২’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

শনিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন গবেষণাদলের প্রধান ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক মনিরা নাজমী জাহান।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা কাজী মুস্তাফিজের সভাপতিত্বে আলোচকদের মধ্যে ছিলেন ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির প্রেসিডেন্ট ইমদাদুল হক, প্রযুক্তিবিদদের আন্তর্জাতিক সংগঠন আইসাকা ঢাকা চ্যাপ্টারের সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসাইন ও ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সুলতানা ইশরাত জাহান।

গবেষণায় বলা হয়েছে, ৫০.২৭ শতাংশ মানুষ সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন। ছবি বিকৃত করে অপপ্রচার, পর্নোগ্রাফি কনটেন্ট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার এবং অনলাইনে-ফোনে মেসেজ পাঠিয়ে হুমকি দিয়ে মানসিক হয়রানির ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে।

উপরোক্ত অপরাধের যারা শিকার হচ্ছেন তাদের বেশির ভাগেরই বয়স ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাইবার অপরাধের শিকার ভুক্তভোগীদের মধ্যে মাত্র ৭.০৪ শতাংশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অভিযোগ দিয়ে ফল পেয়েছেন। ৫৫.৭৩ শতাংশ ভুক্তভোগী অভিযোগ দিয়ে কোনো ফল পাননি।

তথ্য প্রুযুক্তি