ইউক্রেন সংঘাতের অবসান চায় না পশ্চিমাবিশ্ব। তারা এই সংঘাত প্রলম্বিত করতে চায়। খাদ্যশস্য রপ্তানি চুক্তিও ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা।
মঙ্গলবার পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেছে তুরস্ক। খরব আরটির।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। এর পর প্রায় ছয় মাস ধরে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে সংঘাত দীর্ঘতর হওয়ার পেছনে যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিমাদের প্রত্যক্ষ সামরিক সহযোগিতাকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকদের অনেকেই।
চলমান সংঘাত নিরসনে শুরু থেকেই কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে তুরস্ক। দেশটির নেতাদের প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যে উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সংঘাতের অবসান না হলেও জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় খাদ্যশস্য রপ্তানি বিষয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে
সম্প্রতি গুরুত্বপূর্ণ একটি চুক্তি হয়েছে।
এখন ইউক্রেন সংঘাত অবসানের লক্ষ্যে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আঙ্কারা। সেই লক্ষ্যেই দিন-রাত দৌড়াচ্ছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ও তার কর্মকর্তারা।
রাশিয়া ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, তারা ইউক্রেন অভিযানে ইতি টানার সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করেছে।
তবে পশ্চিমারা এ সংঘাতের অবসান দেখতে চান না বলে অভিযোগ করেছে আঙ্কারা। ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে মঙ্গলবার রাজধানী আঙ্কারায় স্থানীয় গণমাধ্যমকে এক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকার দেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। বলেন, ‘ইউক্রেন সংঘাত অবসানের কোনো আগ্রহই নেই বেশ কিছু পশ্চিমা দেশের।’
হেবার গ্লোবালকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে তুর্কি
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কয়েকটি পশ্চিমা দেশ যুদ্ধ প্রলম্বিত করতে চাইছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, এর মধ্যে ন্যাটোর কয়েকটি সদস্য দেশও রয়েছে।’ সাক্ষাৎকারে পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে ইউক্রেন-রাশিয়ার খাদ্যশস্য রপ্তানি চুক্তি ভেস্তে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন কাভুসোগলু। বলেন, ‘এমন দেশও রয়েছে, যারা খাদ্যশস্য চুক্তি ভেস্তে দিতে চাইছে।’
যুদ্ধের কারণে আটকে থাকা ইউক্রেনীয় খাদ্যশস্য রপ্তানির জন্য তিনটি ইউক্রেনীয় বন্দর পুনরায় চালু করতে তুরস্ক এবং জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় গত ২২ জুলাই একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে রাশিয়া ও ইউক্রেন।