ভোটের বাকি ১৫ মাস

ভোটের বাকি ১৫ মাস

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি ১৫ মাস। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ক্ষেত্রে ২০২৩ সালের নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা হতে পারে। ইতোমধ্যে ইসি ভোটের রোডম্যাপ চূড়ান্ত করেছে।তা এখন প্রকাশের অপেক্ষা মাত্র। চলতি সপ্তাহের যে কোনো দিন আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবে কমিশন।

এ ছাড়া দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে কমিশন। এ জন্য আরও ২ লাখ নতুন ইভিএম কেনায় প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।এদিকে বসে নেই রাজনৈতিক দলগুলোও। তারাও নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছে। নানা হিসাব-নিকাশ চলছে সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন নিয়ে। দলগুলো নিজ নিজ প্রার্থী ঠিক করতে পর্যালোচনা করছে।

এ ছাড়া নির্বাচন সামনে রেখে ইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত-রাজনৈতিক পরিচয়সহ নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে।ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে দুই ধরনের পরিকল্পনা থাকবে ইসির। প্রথমত, আগামী বছর নভেম্বরের মাঝামাঝি তফসিল দিয়ে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ভোট গ্রহণ। দ্বিতীয়ত, আগামী বছর নভেম্বরের শুরুতে তফসিল দিয়ে ডিসেম্বরের শেষ দিকে ভোট অনুষ্ঠান। এ ক্ষেত্রে চলতি মাসে রোডম্যাপ ঘোষণা হলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইসির হাতে ১৫ মাস সময় থাকবে।

এদিকে নীরবে এগিয়ে চলছে সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কাজ। নতুন ইসি দায়িত্ব নিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইতোমধ্যে প্রথম দফায় নির্বাচনী সংলাপ শেষ করেছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের খসড়া প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। চলছে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ। নতুন দল নিবন্ধনের কার্যক্রমও চলছে। ইতোমধ্যে সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনাররা রোডম্যাপের ফাইল অনুমোদন দিয়েছেন। তা ছাপাখানায় রয়েছে।একজন নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, চলতি সপ্তাহের যে-কোনো দিন রোডম্যাপ ঘোষণা করা হতে পারে। আমরা ফাইল অনুমোদন করেছি। তা এখন ছাপাখানায় রয়েছে। ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। নির্বাচন কমিশনাররা সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে নানা নির্দেশনা দিচ্ছেন। ভোটের খরচ কেমন হতে পারে সে বিষয়ে হিসাব-নিকাশ করা হচ্ছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে কোথায় কোথায় সংঘাত হয়েছে, সেই এলাকাগুলো চিহ্নত করা হচ্ছে।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আর প্রথম সংসদ অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ প্রথম অধিবেশন থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। সে হিসেবে ২০২৪ সালের ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বর্তমান সংসদের মেয়াদ। নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সংবিধানে সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের কথা বলা হয়েছে। সে হিসেবে ২০২৪ সালের ৩০ জানুয়ারির পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

আসছে নির্বাচনী রোডম্যাপ : যে-কোনো দিন নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশ করবে ইসি। এরপর তা নিয়ে আবারও অক্টোবরে রাজনৈতিক দল, সুশীলসমাজসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে সংলাপ বা ওয়ার্কশপ করবে কমিশন। এবারের রোডম্যাপে অগ্রাধিকার পাচ্ছে নির্বাচনী আইন সংস্কার, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার কার্যকর পন্থা, কত আসনে ইভিএম ব্যবহারসহ বেশ কয়েকটি বিষয়। এ ছাড়া সংসদীয় আসনের সীমনা নির্ধারণের কাজ আগামী বছর জুনের মধ্যে এবং রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের কাজ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করার টার্গেট থাকবে রোডম্যাপে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের টার্গেট নিয়ে ‘রোডম্যাপ’ প্রস্তুত করা হয়েছে। চলতি বছরের ১৭ থেকে ৩১ জুলাই অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সংলাপে প্রাপ্ত সুপারিশ খসড়া রোডম্যাপে স্থান পাচ্ছে

ভোটের বাকি ১৫ মাস

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে করার টার্গেট

ভোটের বাকি ১৫ মাস

♦ নির্বাচনী রোডম্যাপ চূড়ান্ত করছে ইসি ♦ সীমানা পুনর্নির্ধারণ ২০২৩-এর জানুয়ারি-জুন ♦ ২০২৩-এর নভেম্বরের মধ্যে তফসিল ♦ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর হয়েছিল একাদশ সংসদ নির্বাচন

 গোলাম রাব্বানী

 রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি ১৫ মাস। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ক্ষেত্রে ২০২৩ সালের নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা হতে পারে। ইতোমধ্যে ইসি ভোটের রোডম্যাপ চূড়ান্ত করেছে।

তা এখন প্রকাশের অপেক্ষা মাত্র। চলতি সপ্তাহের যে কোনো দিন আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবে কমিশন।এ ছাড়া দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে কমিশন। এ জন্য আরও ২ লাখ নতুন ইভিএম কেনায় প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে বসে নেই রাজনৈতিক দলগুলোও। তারাও নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছে। নানা হিসাব-নিকাশ চলছে সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন নিয়ে। দলগুলো নিজ নিজ প্রার্থী ঠিক করতে পর্যালোচনা করছে।
এ ছাড়া নির্বাচন সামনে রেখে ইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত-রাজনৈতিক পরিচয়সহ নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে।ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে দুই ধরনের পরিকল্পনা থাকবে ইসির। প্রথমত, আগামী বছর নভেম্বরের মাঝামাঝি তফসিল দিয়ে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ভোট গ্রহণ। দ্বিতীয়ত, আগামী বছর নভেম্বরের শুরুতে তফসিল দিয়ে ডিসেম্বরের শেষ দিকে ভোট অনুষ্ঠান। এ ক্ষেত্রে চলতি মাসে রোডম্যাপ ঘোষণা হলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইসির হাতে ১৫ মাস সময় থাকবে।

এদিকে নীরবে এগিয়ে চলছে সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কাজ। নতুন ইসি দায়িত্ব নিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইতোমধ্যে প্রথম দফায় নির্বাচনী সংলাপ শেষ করেছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের খসড়া প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। চলছে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ। নতুন দল নিবন্ধনের কার্যক্রমও চলছে। ইতোমধ্যে সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনাররা রোডম্যাপের ফাইল অনুমোদন দিয়েছেন। তা ছাপাখানায় রয়েছে।একজন নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, চলতি সপ্তাহের যে-কোনো দিন রোডম্যাপ ঘোষণা করা হতে পারে। আমরা ফাইল অনুমোদন করেছি। তা এখন ছাপাখানায় রয়েছে। ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। নির্বাচন কমিশনাররা সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে নানা নির্দেশনা দিচ্ছেন। ভোটের খরচ কেমন হতে পারে সে বিষয়ে হিসাব-নিকাশ করা হচ্ছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে কোথায় কোথায় সংঘাত হয়েছে, সেই এলাকাগুলো চিহ্নত করা হচ্ছে।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আর প্রথম সংসদ অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ প্রথম অধিবেশন থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। সে হিসেবে ২০২৪ সালের ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বর্তমান সংসদের মেয়াদ। নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সংবিধানে সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের কথা বলা হয়েছে। সে হিসেবে ২০২৪ সালের ৩০ জানুয়ারির পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

আসছে নির্বাচনী রোডম্যাপ : যে-কোনো দিন নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশ করবে ইসি। এরপর তা নিয়ে আবারও অক্টোবরে রাজনৈতিক দল, সুশীলসমাজসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে সংলাপ বা ওয়ার্কশপ করবে কমিশন। এবারের রোডম্যাপে অগ্রাধিকার পাচ্ছে নির্বাচনী আইন সংস্কার, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার কার্যকর পন্থা, কত আসনে ইভিএম ব্যবহারসহ বেশ কয়েকটি বিষয়। এ ছাড়া সংসদীয় আসনের সীমনা নির্ধারণের কাজ আগামী বছর জুনের মধ্যে এবং রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের কাজ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করার টার্গেট থাকবে রোডম্যাপে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের টার্গেট নিয়ে ‘রোডম্যাপ’ প্রস্তুত করা হয়েছে। চলতি বছরের ১৭ থেকে ৩১ জুলাই অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সংলাপে প্রাপ্ত সুপারিশ খসড়া রোডম্যাপে স্থান পাচ্ছে।

ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, রোডম্যাপ ঘোষণার আগেই বর্তমান ইসি কিছু কাজ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দিতে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। অক্টোবরের মধ্যে দল নিবন্ধনের আবেদন করতে হবে। এ ছাড়া জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের কাজ শুরু করবে ইসি। তবে ৩০০ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের কার্যক্রম আগামী জানুয়ারির মধ্যে শুরু করার চিন্তা করছে ইসি। আর শেষ করার টার্গেট রাখা হচ্ছে জুনের মধ্যে।

রাজনীতি