কুসাল মেন্ডিস আর নিশাঙ্কার ওপেনিং জুটির দৈর্ঘ্য মাত্র ২ রানের। তারমধ্যে টপ অর্ডার ব্যাটার কুসাল ফিরেছেন শূন্য রানে। এরপর ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিয়ে টাল সামলানোর চেষ্টা করেন নিশাঙ্কা। তবে সেই জুটিও আগায়নি ২১ রানের বেশি।
গুনাাথিলাকা আর ডি সিলভা জুটির স্থায়িত্ব আরও কম, ১১ বলে ১৩ রানের পার্টনারশিপ তাদের। এমন বিপর্যয়ের দিনে প্রথম দশওভার শেষে শ্রীলঙ্কার রান ছিল ৬৭/৫। মনে হচ্ছিল এই দল শতক পেরুনোর আগেই দুমড়ে মুচড়ে যাবে। পাকিস্তানি বোলারদের আগ্রাসনও সেই বার্তা দিয়েছিল।তবে ভোরের সূর্য সব সময় ঠিক কথা বলে না। তা প্রমাণ করেছে লঙ্কানরা।
অধিনায়ক দাসুন শানাকা সাজঘরে ফেরার পর শক্ত হাতে হাল ধরেন ভানুকা রাজাপাকসে। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে নিয়ে তিনি গড়েন শ্রীলঙ্কার ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটি, ৩৬ বলে তাদের ঝড়ো পার্টনারশিপের দৈর্ঘ্য দাঁড়ায় ৫৮ রানে।
এভাবে ডুবতে বসা শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপের ফাইনালে পায় ১৭০ রানের বড় সংগ্রহ। যার মধ্যে ভানুকা রাজাপাকসেই করেছেন ৭১ রান, এই রান করতে তিনি বল খেলেছেন মাত্র ৪৫টা।
শ্রীলঙ্কায় চলছে চরম অর্থনৈতিক সঙ্কট, সেকারণেই আয়োজক হয়েও এবার নিজের দেশে এই আসর আয়োজন করতে পারেনি ভানুকারা।