ইউক্রেনে ২ শতাংশের কম অস্ত্র দিয়ে প্রশ্নের মুখে ফ্রান্স

ইউক্রেনে ২ শতাংশের কম অস্ত্র দিয়ে প্রশ্নের মুখে ফ্রান্স

সামরিক স্বনির্ভরতার নতুন যুগে ইউরোপে নেতৃত্ব দিতে চাইলে ইউক্রেন যুদ্ধে অবদান এত কম কেন? ফ্রান্সের শীর্ষস্থানীয় কিছু সমর বিশ্লেষক এই প্রশ্ন তুলে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁনকে ইউক্রেনে অস্ত্র দিতে চাপ দিচ্ছেন। খবর বিবিসির

ইউক্রেন ও প্রতিবেশী পোল্যান্ডে পরিচালিত সাম্প্রতিক এক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্র ৪৯ শতাংশ, পোল্যান্ড ২২ শতাংশ, জার্মানি ৯ শতাংশ বিদেশি অস্ত্র সরবরাহ করেছে। সেখানে ফ্রান্স ২ শতাংশেরও কম অবদান রেখেছে।

ফ্রান্সের সর্বোচ্চ প্রভাবশালী প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ফ্রাঁসোয়া হেইসবার্গ বলেছেন, পোল্যান্ডে গিয়ে বিদেশি অস্ত্র বণ্টনে ফ্রান্সকে তালিকার নবম স্থানে দেখেছেন তিনি। ফরাসি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা এর পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলছেন, কিছু দেশ পুরনো অস্ত্র সরবরাহ করছে। কিন্তু ফ্রান্স ১৮টি অত্যাধুনিক ‘সিজার্স কামান’ সরবরাহ করেছে, যেগুলো ইউক্রেনের সম্মুখযুদ্ধে সাফল্য এনে দিচ্ছে।

ফ্রান্সের ন্যাশনাল ডিফেন্স রিভিউয়ের সম্পাদক জেনারেল জেরোম পেলিস্ত্রাঁদ বলেছেন, আমরা অন্যান্য দেশের চেয়ে পিছিয়ে আছি মনে হলেও, প্রকৃত অর্থে ফ্রান্স নিজের ভূমিকা ঠিকই পালন করে যাচ্ছে।

বিশ্লেষক ফ্রাঁসোয়া হেইসবার্গ বলেছেন, মূল মঞ্চে কম উপস্থিতির ফলে দৃশ্যপট থেকে বের হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। মনে হচ্ছে, কিয়েভে আমরা (ফ্রান্স) অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাচ্ছি। ফ্রান্সের দুশ্চিন্তার আরেক কারণ– যুদ্ধে ইউক্রেনের সঙ্গে কম সম্পৃক্ততার কারণে ইউরোপের প্রতিরক্ষা বিষয়ে তাদের নেতৃত্বের দাবি দুর্বল হয়ে পড়ছে।

পূর্ব ইউরোপের অনেক দেশ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁনের বিষয়ে সতর্ক করেছে।তাদের ধারণা, যুদ্ধের প্রথম দিকে ম্যাক্রোঁন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে প্রশ্রয় দিয়েছেন। ফ্রান্স এখনো ইউক্রেনের বিজয় নিয়ে সন্দিহান এমন কথাও ছড়িয়ে পড়েছে।

এমন প্রেক্ষাপটে ফরাসি সরকারকে ইউক্রেনে আরো বেশি ট্যাংক ও আকাশ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহের পরামর্শ দিয়েছেন ফরাসি বিশেষজ্ঞরা। শুধু উদারতা প্রকাশের জন্য নয়, নিজেদের সুরক্ষার জন্য হলেও তা করা উচিত বলে মন্তব্য তাদের।

আন্তর্জাতিক