মোকামে বিক্রি কমেছে, কিন্তু দাম কমেনি

মোকামে বিক্রি কমেছে, কিন্তু দাম কমেনি

চালের দাম কমাতে সরকার চাল আমদানির শুল্ক প্রত্যাহার করেছে। ভারত থেকে আমদানি হওয়া চালও এসেছে। আবার চালের বাজারে অস্থিরতার অভিযোগে বেশ কয়েকজন চাল ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলাও করেছে প্রতিযোগিতা কমিশন। সরকারের এত কিছু পদক্ষেপের পরও চালের দাম কমেনি।

তবে দাম না কমলেও চালের বাজারের অস্থিরতা কিছুটা কমেছে। এক মাস ধরে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ায় চালের দাম একই রয়েছে। মিলমালিকেরা বলছেন, সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে চালের দাম না কমলেও বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। এটাই সুফল। কোনো পদক্ষেপ না নিলে হয়তো দাম আরও বেড়ে যেত।

যদিও মিলমালিকেরা এক-দেড় মাস আগে জানিয়েছিলেন, আমদানির অনুমতি ও শুল্ক প্রত্যাহার করলে চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে। গতকাল সোমবার কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খাজানগর এলাকায় চালের মোকামে সরু (মিনিকেট) চাল বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৬৮ টাকায়। কাজললতা ৬০ টাকা ও আটাশ (মোটা) বিক্রি হয়েছে ৫২ টাকা কেজি দরে। আমদানির অনুমতি প্রদান ও শুল্ক প্রত্যাহারের আগে গত ২৯ আগস্ট এই এলাকায় উল্লেখিত তিন ধরনের চালের একই দাম ছিল।

মিলমালিকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছিল প্রতি কেজি ৫৫ টাকা দরে। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ১৩ টাকা। মিলমালিকেরা বলছেন, পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় ধানের দাম গত বছরের চেয়ে বেশি। সে কারণে চালের দামও বাড়তি।

গতকাল দুপুরে খাজানগরে কথা হয় বেশ কয়েকজন মিলমালিকের সঙ্গে। আলাপকালে তাঁরা জানান, চাল আমদানির অনুমোদনের ফলে বাজারে চালের সরবরাহ বেড়েছে। এতে দেশীয় চালের বিক্রি কমে গেছে। এক মাস ধরে মোকামে চাল কেনার কোনো ক্রয়াদেশ নেই।

এক মাসের ব্যবধানে খাজানগরের বিভিন্ন চালের মিলে ক্রয়াদেশ ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। ফলে গুদামে চাল ভর্তি। বিক্রি কমে গেলেও ৬৮ টাকার নিচে কোনোভাবেই চাল বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, ওই দামের কমে বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হবে। বর্তমানে প্রতি মণ ধান ১ হাজার ৭২০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। তাতে চালের উৎপাদন খরচ বেশি পড়ছে।

জানতে চাইলে কুষ্টিয়ার দেশ অ্যাগ্রো ফুডের মালিক আবদুল খালেক প্রথম আলোকে বলেন, দেড় মাস ধরে কোনো বেচাবিক্রি নেই। চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

খাজানগর এলাকার গোল্ডেন রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী জিহাদুজ্জামান বলেন, ধানের দাম ঊর্ধ্বমুখী। পাশাপাশি পরিবহন খরচও বেড়েছে। তা সত্ত্বেও চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।

অর্থ বাণিজ্য