পাকিস্তানের সামনে ১৭৪ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ

পাকিস্তানের সামনে ১৭৪ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ

পাকিস্তানের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ ম্যাচে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগই ছিলো বাংলাদেশের সামনে। আগেই ফাইনালের আশা শেষ হয়ে যাওয়ায় আজকের ম্যাচটি টাইগারদের জন্য শুধুই নিয়ম রক্ষার। এই ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমেও সেই পুরোনো চিত্র টাইগার ব্যাটিংয়ে। পাওয়ার প্লে’র ভেতরেই আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান দুই টাইগার ওপেনার।তবে লিটন দাস আর সাকিব আল হাসান মিলে দলকে এনে দেন বড় সংগ্রহ।

বাংলাদেশের জন্য ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ ম্যাচটি হয়ে গেছে শুধুই নিয়ম রক্ষার আর বিশ্বকাপের আগে নিজেদের শেষবারের মতো ঝালিয়ে নেওয়ার। আজ বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায় ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে শুর হওয়া ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের শেষবারের মতো পরীক্ষা করে নিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৭ রান তুলতে পারে টাইগারা।৯ বল খেলে রানের খাতা খোলেন শান্ত। এর মধ্যে উইকেট বিলিয়ে দেন সৌম্য সরকার। নাসিম শাহর করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলটি তুলে মারতে গিয়ে মিডঅনে ৩০ গজ বৃত্তের মধ্যে ধরা পড়েন সৌম্য (৪ বলে ৪)। তাকে ওপেনিংয়ে তুলে আনার সিদ্ধান্ত কাজে লাগেনি।

নাজমুল হোসেন শান্ত ওপেনিংয়ে নেমে একবার ২৯ বলে ৩৩, আগের ম্যাচে ১২ বলে ১১ আর এআজ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৫ বল খেলে করলেন ১২ রান। অবশেষে মোহাম্মদ ওয়াসিমের লেগ সাইডে বেরিয়ে যাওয়া বলে ব্যাট চালিয়ে বাজেভাবে আউট শান্ত। এরপর দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান আর লিটন দাস। তৃতীয় উইকেটে ৫৫ বলে ৮৮ রানের এক ঝোড়ো জুটি গড়েন তারা। অবশেষে এই জুটিটি ভাঙে লিটনের আউটে।

ইনিংসের ১৫তম ওভারে মোহাম্মদ নওয়াজকে সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ উঠে যায় লিটনের। ৪২ বলে ৬ চার আর ২ ছক্কায় ক্যারিয়ারসেরা ৬৯ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন লিটন। ৩১ বলে ফিফটি পূরণ করেছিলেন তিনি। এরপর টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ফিফটি তুলে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। আগের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফিফটি করেছিলেন ৩৩ বলে, এবারও সমান বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন টাইগার দলপতি।

ইনিংসের ১০ বল বাকি থাকতে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন সাকিব। নাসিম শাহর বলে ডিপ মিডউইকেট বাউন্ডারিতে শাদাব খানের হাতে ধরা পড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৪২ বলে গড়া তার ৬৮ রানের ইনিংসে ৭টি চারের সঙ্গে ছিল ৩টি ছক্কার মার। এরপর ইয়াসির আলি আউট হন মাত্র ১ করে। মোহাম্মদ ওয়াসিমের করা শেষ ওভারে ১০ বলে ১১ রানে রানআউট হন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ওই ওভারে মাত্র ৩ রান নিতে পারে বাংলাদেশ। নাহলে পুঁজিটা আরও বড় হতে পারতো। পাকিস্তানের নাসিম শাহ আর মোহাম্মদ ওয়াসিম নেন দুটি করে উইকেট।বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৭৩/৬ (শান্ত ১২, সৌম্য ৪, লিটন ৬৯, সাকিব ৬৮, আফিফ ১১, ইয়াসির ১, নুরুল ২*, সাইফ ১*; নাসিম ৪-০-২৭-২, হাসনাইন ৪-০-৩৮-০, ওয়াসিম ৪-০-৩৩-২, শাদাব ৪-০-৩১-০, নাওয়াজ ৩-০-৩৭-১, ইফতিখার ১-০-৭-০)

খেলাধূলা