নামিবিয়ার কাছ থেকে টাইগাররা যা শিখতে পারে

নামিবিয়ার কাছ থেকে টাইগাররা যা শিখতে পারে

ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের একার যে ভার আর ধার, তার ধারে কাছেও নেই নামিবিয়া। সাকিব একা যতোগুলো উইকেট পেয়েছেন নামিবিয়ার সবাই মিলেও হয়তো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ততোগুলো উইকেট পায়নি।

র‌্যাংকিংয়েও বাংলাদেশ নামিবিয়ার থেকে পাঁচ ধাপ এগিয়ে। তবে এই পাঁচ ধাপ দিয়ে ঠিক নামিবিয়ার থেকে মাঠের খেলা আর অভিজ্ঞতায়  টাইগাররা কতো এগিয়ে তা বোঝা যাবে না।

কারণ ক্রিকেটের এই ফরম্যাটে নিয়মিত খেলা দেশের সংখ্যা গোটা দশেক। আর বাকি যারা খেলে তারা এই খেলাটাকে অতো সিরিয়াসভাবে নেয় না।

নামিবিয়াও তেমনই একদল। সম্প্রতি উত্থান হলেও ক্রিকেট বাংলাদেশের মতো নামিবিয়ায় এতো প্রচলিত ও পরিচিত খেলা নয়।তারপরও নামিবিয়ার কাছ থেকে একটা জিনিস শেখার আছে। সেটা হলো মানসিক দৃঢ়তা আর সাহস।

এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষের ম্যাচটার কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। দারুণ ব্যাটিং করে ১৮৪ রানের টার্গেট দিয়েও বাংলাদেশ সেবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ জিততে পারেনি।

কারণ, বোলাররা অদক্ষ, সক্ষমতা নেই? মোটেও না, লঙ্কান ব্যাটারদের কাবু করার মতো যথেষ্ট বোলার ওই ম্যাচে টাইগার শিবিরে ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ কেবল মনোবলে পিছিয়ে পড়েছিল। সাকিব তার দলকে সেভাবে ওই ম্যাচে চাঙা রাখতে পারেননি। বোলাররাও নার্ভ ধরে রেখে সঠিক বলটা করতে পারেননি।ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের শেষ ম্যাচেও পাকিস্তানের বিপক্ষে টাইগারদের একই হাল।

১৭০ পেরোনো টার্গেট দিয়েও তারা ডিফেন্ড করতে পারেনি। কারণ, এতো রান করারও পরও ভাবতে পারেনি যে, পাকিস্তানকে তারা হারাতে পারবে। সাইফউদ্দিন মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচ ছাড়ার পর একরকম নির্বিষ হয়ে গেল বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ। হাল ছেড়ে দিয়ে যেন হারের প্রস্তুতি নিল সবাই।  এক সাইফউদ্দিন নার্ভ ধরে রাখতে না পেরে দিলেন ৩.৫ বলে ৫৩ রান। যদি তিনি ৪ ওভারে ৪০ রানও দিয়ে যথেষ্ট খরুচে ওভারও করতেন, তবুও দল জিতে যায়। কিন্তু তিনি হেরে গেলেন মাইন্ড গেমে।কিন্তু এশিয়া কাপ জয়ী উড়ন্ত শ্রীলঙ্কাকে ১৬৩ রানের মাঝারি টার্গেট দিয়ে নামিবিয়া ৫৫ রানের বড় জয় তুলে নিয়েছে। তার মানে কী ওদের বোলাররা টাইগারদের চেয়ে খুব ভালো? মোটেও না, ওরা দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা-দুটোতেই মুস্তাফিজ, সাইফউদ্দিন কিংবা এবাদতদের চেয়ে পিছিয়ে। ওরা কেবল জিতে গেছে মনের জোর আর ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তায়। যে মানসিক শক্তি ওদেরকে মাঠে ফাইট করার প্রেরণা দিয়েছে। ওরা খালি ভেবেছে ‘আমরাও জিততে পারি’, ব্যস বাকিটা হয়ে গেছে।

ঠিক এই জায়গাটাতেই টাইগাররা ওদের কাছ থেকে শিখতে পারে। ভয়কে জয় করে ছন্দে ফেরার সময় এখনও ফুরিয়ে যায়নি। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে দেয়ালটা ভেঙে ফেলতে হয়, না হয় নিজেই পিষে যেতে হয় দেয়ালের চাপে। দেখা যাক, এবার সাকিব বাহিনী কোন পথে হাঁটে…

খেলাধূলা