ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করা হয়েছে।
বন্দর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. জাফর আলম আজ সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিপৎসংকেত জারির পর বন্দরে অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয়।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এখন বাংলাদেশ উপকূলমুখী। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলেছে।
জাফর আলম বলেন, বন্দরে জারি করা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা অনুযায়ী, জেটি থেকে সব জাহাজ নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বহির্নোঙরে পাঠানো হচ্ছে। যন্ত্রপাতি সুরক্ষিত করা হচ্ছে। তবে বন্দর চত্বর থেকে পণ্য খালাসের কাজ চলছে।
জাফর আলম জানান, বন্দর কর্মকর্তারা এখন বৈঠক করছেন। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব মোকাবিলায় যেসব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। একইভাবে ঘূর্ণিঝড়–পরবর্তী কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, বন্দরে পণ্যভর্তি ৩৪ হাজার কনটেইনার পড়ে আছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসেবে গতকাল রোববার বন্দর কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে আমদানিকারকদের দ্রুত কনটেইনার খালাসের আহ্বান জানিয়েছিল। বন্দর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আজ সন্ধ্যা বা রাত পর্যন্ত খালাস কার্যক্রম চলতে পারে।
শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ প্রথম আলোকে বলেন, বন্দর যেসব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে, তা সদস্যদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বহির্নোঙরে একটি জাহাজ থেকে আরেকটি জাহাজের দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে।
১৯৯২ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রণীত ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগ প্রস্তুতি ও ঘূর্ণিঝড়–পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেত অনুসারে চার ধরনের সতর্কতা জারি করে বন্দর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সংকেত জারি করলে বন্দর প্রথম পর্যায়ের সতর্কতা বা ‘অ্যালার্ট-১’ জারি করে। আবহাওয়া অধিদপ্তর ৪ নম্বর সংকেত জারি করলে বন্দর ‘অ্যালার্ট-২’ জারি করে।
বিপৎসংকেত ৫, ৬ ও ৭ নম্বরের জন্য বন্দরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করা হয়। মহাবিপৎসংকেত ৮, ৯ ও ১০ হলে বন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘অ্যালার্ট-৪’ জারি করা হয়। সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি হলে বন্দর–জেটিতে অবস্থানরত জাহাজগুলোকে সরিয়ে নেওয়া হয়।