শুক্রবার রাতে কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে এশিয়ার দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হয় ইউরোপের দেশ পর্তুগাল। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে। এই ম্যাচে বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকেও মাঠে নামিয়েছিলেন পর্তুগিজ কোচ ফার্নান্দো সান্তোস।এইচ’ গ্রুপের এই ম্যাচে শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে দক্ষিণ কোরিয়া।তবে শেষ পর্যন্ত পর্তুগালকে ২-১ গোলে হারিয়েছে কোরিয়া। এই জয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ও উরুগুয়ের সমান ৪ পয়েন্ট, গোল পার্থক্যও সমান হয়।
তবে গ্রুপ পর্বে বেশি গোল করায় গ্রুপের রানার্সআপ হিসেবে নকআউট পর্বে উঠে যায় কোরিয়া। এই জয়ের সুবাদে দীর্ঘ ১২ বছর বিশ্বকাপের নকআউট রাউন্ডে খেলার সুযোগ পেল এশিয়ার দলটি।অন্যদিকে, গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে গেল দুইবারের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে।
দক্ষিণ কোরিয়ার এই ম্যাচে বিপক্ষে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে পুরো ম্যাচ খেলাননি পর্তুগিজ কোচ সান্তোস। খেলার ৬৫ মিনিটের মাথায় তুলে নেন তাকে। যদিও কোরিয়ার বিপক্ষে পর্তুগালের জন্য এটি ছিল নিয়মরক্ষার ম্যাচ।তারপরও ম্যাচে নিজের সেরাটা দিতে পারেননি সুপারস্টার রোনালদো। ম্যাচে গোল করার কয়েকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন তিনি।
খেলা থেকে তুলে নেওয়া হলে মাঠ ছাড়ার সময় রোনালদোকে কিছু একটা নিয়ে অসন্তুষ্ট মনে হচ্ছিল। ধারণা করা হচ্ছিল, হয়তো তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি তার। তবে ম্যাচ শেষে পর্তুগালের কোচ সান্তোস জানালেন আরেক কথা।
তার দাবি, রোনালদো তার সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট ছিলেন না। বরং কোরিয়ান ফুটবলার চো গে সুংয়ের সঙ্গে কথা–কাটাকাটির কারণে তাকে এমন বিরক্ত দেখাচ্ছিল।
ম্যাচ শেষে সান্তোস বলেন, “কোরিয়ান এক ফুটবলার রোনালদোকে অপমান করেছিল। সে তাকে বলেছিল দ্রুত মাঠে থেকে বেরিয়ে যেতে। এ জন্যই রোনালদো রাগ করেছিল, সবাই সেটা দেখেছে। তাদের কথা-কাটাকাটি আমিও দেখেছি, আমার এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ছবি দেখলেই বুঝতে পারবেন, কথা–কাটাকাটি দেখে সেই কোরিয়ান ফুটবলারের দিকে ছুটে যাচ্ছিল পেপে। শরীরী ভাষা আক্রমণাত্মক না থাকলেও তার মুখের ভাষা আক্রমণাত্মক ছিল। ”
এ ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন রোনালদো নিজেও। পর্তুগিজ এই তারকা নিশ্চিত করেছেন, কোচের সিদ্ধান্তে তিনি অখুশি ছিলেন না। পর্তুগিজ এক সংবাদকর্মীকে রোনালদো বলেছেন, “চো আমাকে মাঠ ছেড়ে দ্রুত বের হতে বলছিল। আমি তার মুখ বন্ধ রাখতে বলেছি। কারণ, এই কথা বলার সে কেউ না। আমার কোচের সঙ্গে মতবিরোধ হয়নি। ”উল্লেখ্য, রোনালদো যখন মাঠ ছেড়ে যায় তখন ১-১ গোলে সমতা ছিল ম্যাচে। খেলার শেষ দিকে আরেকটি গোল করে ম্যাচ জিতে নেয় দক্ষিণ কোরিয়া। সূত্র: ইএসপিএন, মার্কা, দ্য স্ট্রেইটস টাইমস, মেট্রো ইউকে, এক্সপ্রেস ইউকে, নিউ ইয়র্ক পোস্ট, আরব নিউজ