আমেরিকা-কানাডা খুনিদের মানবাধিকার রক্ষায় ব্যস্ত: প্রধানমন্ত্রী’

আমেরিকা-কানাডা খুনিদের মানবাধিকার রক্ষায় ব্যস্ত: প্রধানমন্ত্রী’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমেরিকা ও কানাডা খুনিদের মানবাধিকার রক্ষায় ব্যস্ত। জাতির পিতার সাজাপ্রাপ্ত খুনিদের ফেরত দিতে বলি, তারা দেয় না। মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীর মানবাধিকার রক্ষা করছে তারা।

বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে না, সুরক্ষা দেয়। মানবাধিকার নিশ্চিত করে। আওয়ামী লীগ মানুষের অধিকার নিশ্চিত করে।

গুম-খুন নিয়ে সমালোচনার জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেছেন, বিএনপির অনেকে গুম-খুন নিয়ে কথা বলে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানই তো এদেশে গুম-খুনের কালচার শুরু করেছেন। এরপর কোন মুখে বিএনপি গুম-খুন নিয়ে কথা বলে?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু জানে বেঁচে থাকাই তো মানবাধিকার নয়, সুরক্ষা নয়। আজ আমরা খাদ্য নিরাপত্তা দিয়েছি, খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়েছি। বিএনপি কত মেট্রিক টন খাদ্য উৎপাদন করেছে? তাদের সময় খাদ্য উৎপাদন এক কোটি ৬৯ হাজার মেট্রিক টন ছিল। আমরা আজ চার কোটি ৭২ লাখ টন খাদ্যশস্য উৎপাদন করছি। আমরা চালই তো উৎপাদন করছি চার কোটি চার লাখ মেট্রিক টন। এছাড়া গম, ভুট্টাসহ সব আমরা উৎপাদন করছি।

তিনি বলেন, মানুষকে আমরা বিনা পয়সায় খাবার দিচ্ছি, স্বল্পমূল্যে দিচ্ছি। করোনার সময় বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছি। আমরা বিনা পয়সায় ওষুধ দিচ্ছি। গোটা বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের শত শত নেতাকর্মীকে গুম করেছেন। ফাঁসি দেওয়ার সংস্কৃতিও তার। একদিনে শত জনকে ফাঁসি দিয়েছেন। হাজার হাজার মা-বোন ও ভাইয়ের কান্না শোনা যায়। কত মানুষকে জিয়াউর রহমান হত্যা করেছেন! এক বিমানবাহিনীর ৫৬২ জন, দুই হাজার সেনা অফিসার ও সৈনিককে প্রহসনের বিচারে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছেন। সেই পরিবারগুলো আজও তাদের আপনজনের জন্য কেঁদে ফেরেন। তারা মরদেহের খবরটাও তো পায়নি।

তিনি বলেন, তারা জাতির পিতার খুনিদের দূতাবাসে চাকরি দিয়েছেন। জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়া স্বাধীনতা বিরোধীদের বিভিন্ন পদ দিয়েছেন। তখন মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়নি? আমার মানবাধিকার নিয়েও তো প্রশ্ন করতে পারি। জঙ্গি ও মাদক ব্যবসায়ী কারা মারা গেছে, সেটা নিয়েই ব্যস্ত তারা।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আজ বুদ্ধিজীবী দিবস আমরা পালন করি। বিএনপির কী কোনো কর্মসূচি আছে? সেটাতে কী বুঝা যায়!

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এতে আরও বক্তব্য রাখেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

জাতীয়