গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন ২০৫০ সালের মধ্যে উদ্বাস্তু হবে দেশের ২ কোটি মানুষ

গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন ২০৫০ সালের মধ্যে উদ্বাস্তু হবে দেশের ২ কোটি মানুষ

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অন্তত দুই কোটি মানুষ উদ্বাস্তু হবে বলে আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন।

সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রফেসর প্যাট্রিক ভারকুইজেন বলছেন, জলবায়ু ক্ষতি মোকাবেলায় মিলিয়ন বা বিলিয়ন নয়, ট্রিলিয়ন ডলার তহবিল বরাদ্দ জরুরি। বাংলাদেশের মতো বিপর্যস্ত দেশগুলো প্রতিশ্রুত ক্ষতিপূরণের অর্থ না পাওয়াটা দুঃখজনক।

বছর বছর বন্যা আর ঝড়ে নিমিষেই সর্বস্ব হারাতে হয় উপকূলের লাখো মানুষকে। এ ধারা চলতে থাকলে কয়েক বছরে তাদের সংখ্যা যে কোটি ছাড়াবে, সেই ইঙ্গিতই দেন প্যাট্রিক ভি ভারকুইজেন।

মাত্রা অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণের ফলে বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা, দুর্যোগের ঘনঘটাও। পাশাপাশি কমছে কৃষি জমি, যার প্রভাব পড়তে পারে খাদ্য উৎপাদনেও। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তলিয়ে যেতে পারে দেশের ভূখন্ডের কিছু অংশ। এসব ঝুঁকি সামলাতে ২০০৯ সাল থেকে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোর জন্য বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার তহবিল গঠনের অঙ্গীকার ছিল শিল্পোন্নত দেশগুলোর। যদিও তার কাঙ্খিত বাস্তবায়ন হয়নি এখনও।

এদিকে, বাংলাদেশ নিজস্ব আয় থেকে ক্লাইমেট অ্যাকশন প্ল্যানের মতো কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনসহ রাস্তাঘাট, বাধসহ অবকাঠামো নির্মাণের মতো ব্যয়বহুল কাজও করতে হচ্ছে সরকারকে। যদিও এসব কাজের জন্য যে বৈশ্বিক তহবিল, তার সুবিধা সরাসরি এখনও পায়নি বাংলাদেশের মতো ভুক্তভোগী দেশগুলো। গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের মতো বৈশ্বিক তহবিল থেকে বাংলাদেশ যেন সরাসরি অর্থ পায়, সে ব্যাপারে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন

জাতীয়