চলমান কৃষি সেচ মৌসুম, আসন্ন রমজান ও গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের চাহিদা মেটানোতে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১ হাজার ৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট। ২০১৮ সালে উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। আর বর্তমানে দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতা ২ হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট। চলমান কৃষি সেচ মৌসুম, আসন্ন রমজান ও গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের বর্ধিত চাহিদা মেটানো, শিল্প খাতে উৎপাদন নিরবচ্ছিন্ন রাখা এবং রপ্তানিমুখি বিভিন্ন কলকারখানার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উৎপাদিত ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যে স্পট মার্কেট থেকে উচ্চমূল্যে এলএনজি আমদানি করে ওই বর্ধিত চাহিদা পূরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, সে কারণে সরকার অন্যান্য ভোক্তা শ্রেণিকে অপরিবর্তিত রেখে শুধু বিদ্যুৎ, শিল্প, ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ও বাণিজ্যিক খাতে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ওই খাতগুলোতে গ্যাসের চাহিদা মেটানোর জন্য স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে।
সরকার দলীয় সংসদ কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের অভূতপূর্ব সাফল্য বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও কৃষি পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি করা সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে আমাদের সরকার সার ব্যবস্থাপনা সংস্কার, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রণোদনা প্রদান ও সারসহ কৃষি উপকরণে উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করছে।
জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ২০২৩ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার সম্ভাবনা সম্পর্কিত বৈশ্বিক পর্যবেক্ষণ বিষয়ে সরকার সতর্ক দৃষ্টি রাখছে এবং সম্ভাব্য মন্দার প্রভাব হতে বাংলাদেশকে মুক্ত রাখার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। রাজস্ব নীতি ও মুদ্রানীতিসমূহের মধ্যে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে সমন্বয় করা হচ্ছে। উৎপাদনশীল ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে প্রয়োজনীয় সম্পদ প্রবাহ অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যে সরকার অপ্রয়োজনীয় ব্যয় হ্রাসের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।