শীতের রুক্ষতা-রিক্ততা মুছে প্রকৃতিতে বইছে ফাল্গুনী হাওয়া। বিপুল ঐশ্বর্যের ঋতু-ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। আজ পয়লা ফাল্গুন। ‘আজি দখিন দুয়ার খোলা/ এসো হে এসো হে এসো হে আমার বসন্ত’—কবিকণ্ঠের এ প্রণতির মাহেন্দ্র লগন এলো। এলো ‘দখিন সমীরণের শিহরণ’ জাগানোর অনুপম দিন। মাতাল হাওয়ায় কুসুম বনের বুকের কাঁপনে, উড়াল মৌমাছিদের ডানায় ডানায়, নিরাভরণ বৃক্ষে কচি কিশলয় জেগে উঠবার আভাসে আর বনতলে কোকিলের কুহুতান জানান দিচ্ছে: ‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে…।’
আজ পয়লা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। ঋতুরাজের আগমনী রঙের ছোঁয়া শুধু প্রকৃতিতেই নয়, সেই রঙ লেগেছে সবার মনে। তার ওপর একই দিনে ভালোবাসা দিবস এবং পহেলা ফাগুন।
ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে ‘বসন্ত উৎসব ১৪২৯’ আয়োজন করে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ।
আজ হলুদ-বাসন্তী শাড়ি, পাঞ্জাবি আর রঙিন ফুলে নিজেকে সাজিয়ে নানা বয়সের মানুষ হাজির হচ্ছেন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসহ ক্যাম্পাসজুড়ে তরুণ-তরুণী, যুগলসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ জড়ো হচ্ছেন।
এছাড়া হাকিম চত্বর, অপরাজেয় বাংলা, লাইব্রেরি, কার্জন হল, এনেক্স ভবন, শহীদ মিনারসহ পুরো এলাকায় বাসন্তী সাজ সাজ রব।
বসন্তের সাজে মুক্তমঞ্চে গানের তালে তালে চলছে নৃত্য পরিবেশনা। চলছে নানা আবৃত্তি, লোকগান।