রিখটার স্কেলে সাত মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকায় ধ্বসে পড়বে কয়েক হাজার ভবন, মৃত্যু হবে অন্তত দুই থেকে তিন লাখ মানুষের। সে তুলনায় বাংলাদেশের উদ্ধার প্রস্তুতি একেবারেই নগন্য।
ইন্টারন্যাশনাল সার্চ এন্ড রেসকিউ এ্যাডভাইজারী গ্রæপ আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের কর্মশালায় এমন আশঙ্কার কথা বলেছেন বিশ্লেষকরা।
বৃহষ্পতিবার দুপুরে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খাগান এলাকায় ব্র্যাক সিডিএম এ ইউএনডিপি আয়োজিত এ কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন সরকারের নীতিনির্ধারক ছাড়াও সেনাবাহিনীসহ উদ্ধারকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার এনামুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক জেনারেল মাইন উদ্দিন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন ইউএনডিপির অ্যাসিস্ট্যান্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ প্রসেনজিৎ চাকমা।
২০০৯ সালের এক গবেষণা ওলে করে কর্মশালায় বলা হয় সে সময় উচ্চ মাত্রার ভুমিকম্পে রাজধানী ঢাকায় ৭২ হাজার ভবন ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা ছিল এতদিনে যা বহু অংশে বেড়েছে।
বাংলাদেশ বরাবর উচ্চ ভুমিকম্প ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে কারণ সিলেটের জৈন্তা এলাকার ডাউকি ফল্টের কারণ ইতিমধ্যে ছয় মিটার বিচ্যুতি হয়েছে।
আর সেই ঝুঁকিকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণ। কারণ অধিকাংশ ভবন ই ভূমিকম্প সহনশীল নয়।