বিধ্বংসী ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত তুরস্ক-সিরিয়ায় মৃত্যুর মিছিল থামছেই। প্রতিনিয়ত এই সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আজ শনিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উভয় দেশেই নিহতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, দেশটিতে প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৬৭২ জনে। অন্যদিকে সিরিয়ান সরকার ও জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা পাঁচ হাজার ৮০০ জনের বেশি।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত। এতে দেশ দুইটিতে হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে। ঘর ছাড়া হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অনেকে আটকা আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে তাদের জীবিত উদ্ধারের তেমন আর আশা নেই বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
তবে এর মধ্যেও মাঝে মধ্যে অলৌকিকভাবে জীবিত উদ্ধারের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে এ ধরনের উদ্ধার অভিযান উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
তুরস্কের হাতায়ে দেশটির উদ্ধারকর্মীরা ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ২৭৮ ঘণ্টার পর জীবিত উদ্ধার করেছে। আল-জাজিরা বলছে, ৯ ফেব্রুয়ারির পর তুরস্ক থেকে জাতিসংঘের ১৭৮টি ত্রাণ ট্রাক সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে।
ভূমিকম্পের কারণে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া এক হাজার ৫৮৯ শিশুর আলাদাভাবে পরিষেবায় নিয়েছে তুরস্ক সরকার।