বিশ্বে সফটওয়্যার টেস্টিং খাতে বিশাল বাজার রয়েছে। পাশাপাশি নিজেদের লোকাল মার্কেটে এই সেক্টরের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এর জন্য আমাদের দরকার দক্ষ জনবল। ২০২৩ সালে বাংলাদেশে সফটওয়্যার টেস্টিং খাতে রয়েছে বিপুলপরিমাণ দক্ষ মানুষের চাহিদা রয়েছে বলে জানিয়েছে এ খাতের সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বেসিস সফটএক্সপো’র প্রথম দিনের গোলটেবিল বৈঠকে তারা এই কথাগুলো বলেন।
বৈঠকে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ হাই-টেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার আজিজুল ইসলাম বলেন, করোনাকালীন সময়ে সফটওয়্যার খাতে বিল্পব হয়েছে। সে সময় আমাদের ছেলে-মেয়েরা নিজেদের দক্ষতায় সুরক্ষা অ্যাপ তৈরি করে। এতে ১০ থেকে ১২ কোটি মানুষকে সহজে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। নিজেরা সফটওয়্যার তৈরি করায় প্রায় দেড়শ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এখন আমাদের সফটওয়্যারের কোয়ালিটির দিকে নজর দিতে হবে। আমরা যদি সফটওয়্যার রপ্তানি করতে চাই কোয়ালিটির বিকল্প নেই।
সফটওয়্যার শিল্পের উন্নয়নের জন্য সরকার, ইন্ড্রাস্টি এবং একাডেমিয়ার একসঙ্গেকাজ করতে হবে জানিয়ে মোহাম্মদ নাবিদ সাইফুল্ল্যাহ বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে আমরা অগ্রসর হচ্ছি। এক্ষেত্রে সফটওয়্যারের কোয়ালিটি ও টেস্টিংয়ের দিকে নজর দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এবিষয়ে একটা কোর্স চালু করা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ড্যাফোডিল ফ্যামিলির গ্রুপ সিইও মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, বেসিস পরিচালক ও বেসিস জাপান ডেস্কের চেয়ারম্যান আহমেদুল ইসলাম বাবু, ব্রেইনস্টেশন ২৩ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাইসুল কবির ও বিজেআইটি লিমিটেডের চিপ অপারেটিং অফিসার মেহেদী মাসুদ।
চার দিনব্যাপী বেসিস সফটএক্সপো চলবে আগামী রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত। সব ধরনের দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকছে এই আয়োজন।দর্শনার্থীরা যাতে সহজেই বেসিসসফট এক্সপোতে যাতায়াত করতে পারেন সেজন্য বিশেষ শাটলবাস সেবার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া রয়েছে গেমিং জোন, বিজনেস লাউঞ্জ, ফুড কোর্ট ও কনসার্ট।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়ার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বিএএসআইএস)সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানায়।