ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগ এনে দেড় বছর আগে মামলা করেছিলেন কণ্ঠশিল্পী ইলিয়াস হোসেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২০২১ সালের ১৯ এপ্রিল রাজধানীর পল্টন থানায় মামলাটি করা হয়। তদন্ত শেষে নুরকে পলাতক দেখিয়ে গত ৩১ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দেয় ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ, যা নুরের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত হওয়া ২০টি মামলার মধ্যে প্রথম কোনো চার্জশিট।
মামলার চার্জশিটে বলা হয়েছে, আসামি নুর ২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে আসেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা, মানহানিকর, উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। যার মাধ্যমে তিনি ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত করেন। তিনি দেশের সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, বিভিন্ন সম্প্রদায় ও শ্রেণির মধ্যে শত্রুতা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা সৃষ্টি করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট করাসহ অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেন। নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮-এর ২৫/২৮/২৯/৩১ ধারায় অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রতীয়মান হয়েছে। তবে ৩৫ ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হয়নি। নুর পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের পরিদর্শক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সাবেক ভিপি নুরের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮-এর ২৫/২৮/২৯/৩১ ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে নুরুল হক নুর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমি ঢাকাতেই আছি, সভা-সমাবেশ করছি। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বিভিন্ন সভায় যাচ্ছি। দলীয় নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাকে পলাতক দেখিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে। আমরা মোটেও ভীতসন্ত্রস্ত নই।’