ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের টাকা মেরে বিলাসী জীবনযাপন করছেন কতিপয় ব্যবসায়ী। বছরের পর বছর ব্যাংকের খাতায় ঋণখেলাপি দেখানো হলেও তারা বিদেশে রাজকীয়ভাবে বসবাস করছেন। ক্রিসেন্ট গ্রুপ, বিসমিল্লাহ গ্রুপসহ ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বড় অংশই পাড়ি জমিয়েছেন দুবাইয়ে। সেখানে গড়ে তুলেছেন আবাসিক হোটেলসহ বিভিন্ন ব্যবসা। কিনেছেন বিলাসবহুল গাড়ি। বিশ্লেষকরা বলছেন, ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে অর্থ উদ্ধারে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে। খেলাপি প্রতিষ্ঠানের সুযোগ-সুবিধা বাতিল করতে হবে। বিচার বিভাগকে শাস্তি নিশ্চিত করে উদাহরণ তৈরি করতে হবে। হলমার্ক কেলেঙ্কারির পর ব্যাংক খাতে আরেকটি আলোচিত ঘটনা ছিল বিসমিল্লাহ গ্রুপের ঋণ কেলেঙ্কারি। গ্রুপটি ছয়টি ব্যাংক থেকে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আর পরিশোধ করেনি। বরং গ্রুপটির এমডি খাজা সোলায়মান আনোয়ার ঋণ পরিশোধ না করে রাতারাতি পাড়ি জমান বিদেশে। ২০১২ ও ২০১৩ সালে বিসমিল্লাহ গ্রুপ ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ নেয়। পরে ভুয়া এলসির মাধ্যমে পুরো অর্থই বিদেশে পাচার করে। বিসমিল্লাহ গ্রুপের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। ফলে খাজা সোলায়মানসহ এর বেশির ভাগ শীর্ষ নির্বাহী বিদেশে পালাতক রয়েছেন। এর মধ্যে বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডি খাজা সোলায়মান আনোয়ার ও চেয়ারম্যান নওরিন হাবিবসহ গ্রুপের কিছু কর্মকর্তা এখন দুবাইয়ে বসবাস করছেন। সেখানে তারা একটি অভিজাত হোটেলের ব্যবসা করছেন।বিস্তারিত