লিবিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ৩০, উদ্ধার ১৭

লিবিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ৩০, উদ্ধার ১৭

লিবিয়ার উত্তর উপকূলে ভূমধ্যসাগরে আরেকটি নৌকা ডুবে গেছে। এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৩০ জন। তবে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। রোববার (১২ মার্চ) ইতালির কোস্ট গার্ডের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

 

কোস্টগার্ড জানায়, উদ্ধার অভিযান চলছে। ফ্রন্টেক্স, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক জাহাজের সহায়তায় উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে।

লিবিয়ার উত্তর উপকূলে ভূমধ্যসাগরে আরেকটি নৌকা ডুবে গেছে।
এর আগে মেডিটেরিয়ান সেভিং হিউম্যানস নামে একটি দাতব্য সংস্থা রোববার টুইট করেছে, ‘বেশ কয়েকটি সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, লিবিয়া থেকে ইতালিগামী জাহাজটি বেনগাজির প্রায় ১৭৭ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ভূমধ্যসাগরে ডুবে গেছে।’

অ্যালার্ম ফোন নামে আরেকটি দাতব্য সংস্থা, যারা ভূমধ্যসাগরে দুর্দশাগ্রস্ত নৌকা বা জাহাজ থেকে দুর্দশা কল শনাক্ত করে তারা টুইটারে জানিয়েছে, শনিবার (১১ মার্চ) ইতালীয় কর্তৃপক্ষকে প্রথম সতর্ক করা হয়।

 

তারা জোর দিয়ে বলেছিল, ৪৭ জন লোক বহনকারী নৌকাটি যে কোনও সময় ডুবে যেতে পারে। অবিলম্বে এটি উদ্ধার করা প্রয়োজন। এর আগে শনিবার ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া তিনটি মাছ ধরার নৌকা থেকে ১ হাজার ৩৮৬ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে ইতালি।

দেশটির কোস্টগার্ড তাদের উদ্ধার করে পৃথক দুইটি বন্দরে নিয়ে যায়। শনিবার সকালে প্রথম নৌকায় থাকা ৪৮৭ জনকে নিরাপদে ক্রোটন হারবারে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্য একটি নৌকায় উদ্ধার অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ৫০০ জনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

 

তৃতীয় একটি নৌকা থেকে ৩৯৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং সিসিলির উদ্দেশ্যে আবদ্ধ ইতালীয় নৌবাহিনীর জাহাজে স্থানান্তর করা হয়েছে। উন্নত জীবনের আশায় হাজার হাজার অভিবাসী অবৈধভাবে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে প্রবেশের চেষ্টা করে।

বিপজ্জনক এই পথ পারাপার করতে গিয়ে প্রাণহানির ঘটনা নতুন নয়। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের মিসিং মাইগ্রেন্টস প্রজেক্ট অনুযায়ী, ২০১৪ সাল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ২০ হাজারেরও বেশি অভিবাসী মারা গেছেন।

আন্তর্জাতিক