বঙ্গবন্ধু যেভাবে মহানায়ক

বঙ্গবন্ধু যেভাবে মহানায়ক

তখন অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক। খাদ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তারা গোপালগঞ্জ স্কুল পরিদর্শনে যান। পরিদর্শন কাজ শেষে বাংলোতে ফেরার পথে একদল ছাত্র তাদের পথ আগলে দাঁড়ায়। অকপটে বলে যায় বর্ষাকালে ছাত্রাবাসের ছাদ চুইয়ে পড়া পানিতে ছাত্রদের বিছানাপত্র নষ্ট হওয়ার কথা। ছাত্রাবাসটি মেরামতের দাবি জানায় তারা। প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিক তার স্বেচ্ছাধীন তহবিল থেকে ১,২০০ টাকা মঞ্জুর করেন এবং ছাত্রাবাসটি মেরামত করার নির্দেশ দেন। এই ছাত্রদের নেতার নাম ছিল খোকা। হ্যাংলা, ছিপছিপে দৈহিক গঠন, তবে সুশ্রী। ছেলেটির ভালো নাম ছিল শেখ মুজিবুর রহমান। খোকা নামের সেই ছেলেটি পরবর্তী সময়ে হয়ে ওঠেন নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালির ত্রাতা ও মুক্তির দিশারি।

‘স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির জনক তুমি, তোমার তরে পেলাম বাংলা নামক ভূমি। দেশের জন্য কারাবরণ করেছ শতবার, তোমার মতো মানুষ দেখিনি তো আর। বাংলার রূপ দেখলে পরে তোমায় মনে পড়ে, তুমি আছো তুমি থাকবে হাজার বছর ধরে।’ কবি এম শিকদারের এই পঙ্তিতে ফুটে উঠেছে বঙ্গবন্ধু আমাদের ইতিহাসের বটবৃক্ষ, মহানায়ক।

গোপালগঞ্জের নিভৃতপল্লী টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেওয়া ‘খোকা’ পরিণত বয়সে মহানায়ক হয়ে উঠেছিলেন। শৈশব থেকে তার মনটাও ছিল শিশুদের জন্য মমতায় ভরা। তাই পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম সংগ্রামের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনটিকে এ দেশের শিশুরা পেয়েছে তাদের জন্য বিশেষ দিন- ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে।বিস্তারিত

রাজনীতি