বাউফল (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
পটুয়াখালীর বাউফলে স্থানীয় সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ছেলে মোতালেব হাওলাদারের মো. মাহমুদ হাসান।
দৈনিক ইত্তেফাকের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
মাহমুদ হাসান অভিযোগ করেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার উদ্দেশ্যে আনন্দ র্যালি করেন। ওইদিন বেলা সোয়া ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে র্যালিটি পৌঁছালে সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের হুকুমে সন্ত্রাসী বাহিনী তার বাবার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তার বাবার ডান পা ভেঙে যায় এবং আঘাতের ফলে ফুসফুস ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিনি এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।
এর আগে গত ১৭ মার্চ বাউফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের তিন পক্ষ একই সময়ে কর্মসূচির ডাক দেয়। এর মধ্যে সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেবের দু’পক্ষ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করে।
এ কর্মসূচিকে ঘিরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে জড়ো হতে শুরু করে। সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের পক্ষের নেতা-কর্মীরা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয় ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারের পক্ষের নেতা-কর্মীরা বাউফল সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জড়ো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১১টার আবদুল মোতালেবের নেতৃত্বে বাউফল সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে আনন্দ র্যালি বের হয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিল। র্যালিটি উপজেলা পরিষদের সামনে পৌঁছালে পুলিশ বাধা বাধা উপেক্ষা করে দলীয় কার্যালয়ের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ লাঠিচার্জ ও কয়েক রাউণ্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়। তখন আবদুল মোতালেবের কর্মী-সমর্থকেরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে অর্ধশত মানুষ আহত হন। একপর্যায়ে আবদুল মোতালেব ও নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায় সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের গ্রুপ। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিউতে আছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে পুলিশের কাজে বাধা ও হামলার অভিযোগে অজ্ঞাত ২৫০-৩০০ জনকে অভিযুক্ত করে উপ-পরিদর্শক মনির হোসেন বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে মামলা করেছেন।