বিএনপির দুটি গুণ, দুর্নীতি আর মানুষ খুন: ওবায়দুল কাদের

বিএনপির দুটি গুণ, দুর্নীতি আর মানুষ খুন: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর ধোলাইখাল-ট্রাকস্ট্যান্ডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আবার পাচার করবে। বর্তমানে পাচারকারী (তারেক) লন্ডনে আছে। ক্ষমতায় আসলে দেশে এসে আবার পাচার শুরু করবে। সাম্প্রদায়িকতার ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। বিএনপির হাতে ক্ষমতায় গেলে সাম্প্রদায়িকতার অভয়ারণ্যে পরিণত হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতিতে বিএনপি পরপর ৫ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। দুর্নীতিবাজের মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা। এরা চুরির কথা বলে, ভোট চুরি করে বিশ্ব রেকর্ড করেছে।

মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতার স্বপ্ন দেখছেন। বেপরোয়া গাড়ির বেপরোয়া ড্রাইভারে চলতে চলতে গাড়ি খাদে পড়ে গেছে। বিএনপির আন্দোলন খাদে পড়ে গেছে। বিএনপির আন্দোলন জখম হয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা চুরি করলে পদ্মা সেতু হতো না, ঢাকায় মেট্রোরেল হতো না, এক্সপ্রেসওয়ে হতো না। শেখ হাসিনা যদি চুরি করতেন তাহলে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী টানেল হতো না। একদিনে একশ রাস্তা হতো না। শেখ হাসিনা চুরি করে নি, চুরি থেকে বাংলাদেশকে, ক্ষমতার রাজনীতিকে দুর্নীতিমুক্ত করেছেন।

গত ৪৮ বছরে দক্ষ শাসক জন্ম নেয়নি মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা চুরি করলে তার নামে হাওয়া ভবন তৈরি হতো। কোটি কোটি মানুষের কাছে খাদ্য পৌঁছে দিতে পারতেন না। শেখ হাসিনা আছেন বলেই গৃহহীনরা ঘর পাচ্ছেন, ভূমিহীনেরা ভূমি পাচ্ছেন।

তিনি বলেন, আমরা যদি চুরি করতাম, শেখ হাসিনা যদি চুরি করতো তাহলে এ দেশে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ে হতোনা। একদিনে একশ সেতু উদ্বোধন হতোনা।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা এ দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করেছেন। গত ৪৮ বছরে এমন জনপ্রিয়, সৎ, পরিশ্রমী নেতার জন্ম হয়নি। তিনি এ দেশের মানুষের জন্য সারাক্ষণ ভাবেন,মাত্র তিন ঘণ্ট ঘুমান। বাকি সময় ফখরুলদের মত চুরি করেন না। যদি চুরি করতেন তাহলে হাওয়া ভবন তৈরি হতে পারতো। করোনার সময়ে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিতে পারতোনা। এত এত ত্রাণ দিতে পারতোনা।

অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি বলেন, আমরা উন্নতির দিকে যাচ্ছি। আমাদের উন্নয়নকে থামিয়ে দিতে চায় বিএনপি। সংবিধানের বাইরে নিয়ে যেতে চায়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশে হবেনা, হবেনা। নির্বাচন কমিশনকে কোনোভাবে সরকার চাপ দিবেনা। তারা আমাদেরকে দেউলিয়া পাকিস্তানের সঙ্গে মেলাতে চায়।

বীর বিক্রম মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, বিএনপির সবাই সন্ত্রাসী, নির্বাচন আসলেই তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে।মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যখন বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে তখন তারা পেছনে টেনে ধরতে চায়।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমদ মন্নাফির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের পরিচালনায় এ সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা আজম এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম মনু

জাতীয় রাজনীতি