নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, পটুয়াখালী।
পটুয়াখালীর বাউফলের এমপি আসম ফিরোজের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে এবিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উপজপলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ছেলে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসানের নেতৃত্বে এ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি পৌর শহরের কাগুজিপুল থেকে শুরু হয়ে গোলাবাড়ি, কুন্ডুপট্টি ও বাজার রোড হয়ে ইলিশ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।
মিছিল পরবর্তী ইলিশ চত্বরে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তালুকদার জাহাঙ্গীর হোসেন, মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মস্তফা, বাউফল সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন, বগা ইউপির চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান প্রমুখ।
বক্তারা গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আনন্দ মিছিলে হামলায় দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদারসহ ২০-২৫ জন নেতা কর্মী আহত হওয়ার ঘটনার আসম ফিরোজ এমপিকে দায়ী করেন। তার নির্দেশে তার ভাইয়ের ছেলে মনির মোল্লা ও আলকাস মোল্লার নেতৃত্ব ৫০-৬০ জন অস্ত্রধারীরা এ হামলা চালিয়ে আনন্দ মিছিল পন্ড করে দেন বলে অভিযোগ করেন এবং তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের উপর হামলার ঘটনার পর থেকেই আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ আসম ফিরোজ এমপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠে এবং নানা কর্মসূচির ঘোষনা দেন।
ইতিমধ্যেই দুই পক্ষ পাল্টা পাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘটনার জন্য একে অপরকে দোষারোপ করেন।
এ ঘটনার পর দলের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব হাওলাদারের জন্ম ভূমি বগা ইউনিয়নের বগা বন্দরে আসম ফিরোজ এমপির বিরুদ্ধে মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। সমাবেশ থেকে আসম ফিরোজ এমপিকে অবাঞ্ছিত ঘোষনা করা হয়।
আসম ফিরোজ এমপির পক্ষ থেকেও আজ মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিএনপি- জামায়াতের নৈরাজ্যর নামে পাল্টা কর্মসূচির ঘোষনা দিলেও তা জেলা প্রশাসক ও এসপির হস্তেক্ষেপে পরিবর্তন করে পরে দিন (২২ মার্চ) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বিপুল সংখ্যক র্যাব ও পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।