‘জয় বাংলা’র সঙ্গে ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ অন্তর্ভুক্ত করতে হাইকোর্টের রুল

‘জয় বাংলা’র সঙ্গে ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ অন্তর্ভুক্ত করতে হাইকোর্টের রুল

‘জয় বাংলা’কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে জারি করা গেজেট সংশোধন করে ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রুল জারি করেন।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, শিক্ষা সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূইঁয়াসহ ১৩ আইনজীবী এ রিট করেন।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন আব্দুল্লাহ আল হারুন ও মো. আবু হানিফ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

আইনজীবী মো. আবু হানিফ দৈনিক বাংলাকে বলেন, আদালত আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন। তবে শুনানির সময় আদালত দুর্নীতির বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ভাষণগুলো প্রচার করা দরকার, সেটা কেন করা হয় না, এমন প্রশ্নও তুলেছেন।

এর আগে তারা সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন।

নোটিশ পাঠানোর পর গত বছরের ২০ জুন এ বিষয়ে আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূইঁয়া জানিয়েছিলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘জয় বাংলা’ এবং ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান একইসঙ্গে উচ্চারিত হয়েছে। একই স্পিরিট নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। দুটি আলাদা কোনো স্লোগান নয়। একই স্লোগান।

এ ছাড়া ২০১৬ সালের ৩ মে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর নিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায়ে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক এবং অভিন্ন। এই দেশটি বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। তাইতো মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র বাঙালির মুখে মুখে স্লোগান ছিল ‘এক নেতা এক দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান আমাদের জাতীয় স্লোগান।

তিনি আরও জানান, চলতি বছরে জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে গেজেটভুক্ত করা করা হয়েছে। আমরা চাই ওই গেজেট সংশোধন করে জয় বঙ্গবন্ধু অন্তর্ভুক্ত করতে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. বশির আহমেদের করা এক রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। রুলে ‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করার নির্দেশ দেয়া হবে না কেন, তা জানতে চাওয়া হয়। পরে রুলটি যথাযথ ঘোষণা করেন আদালত। পরে সেটি বাস্তবায়ন করে গেজেটও প্রকাশ করে সরকার।

জাতীয়