ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটি নিয়ে এবার নতুন কায়দায় বাণিজ্যের পাঁয়তারা চলছে। গত কয়েকটি সম্মেলনে উপকমিটি গঠন নিয়ে নেতিবাচক অভিজ্ঞতার কারণে এবার খুব সতর্ক দলের নীতিনির্ধারকরা। তবে থেমে নেই সুযোগসন্ধানীরা। জাতীয় নির্বাচনের ঠিক আগে উপকমিটিতে জায়গা পেতে এবং সে লক্ষ্যে কেন্দ্র ও এলাকায় গুরুত্ব প্রমাণে তৎপর হয়ে উঠেছেন বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী। যেভাবেই হোক পদ বাগানোর চেষ্টায় নানা কৌশলে গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের কাছে ভিড় করছেন অনেকে। কেউ কেউ উপহার পৌঁছে দিয়ে নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। সেই সুযোগে সংসদ নির্বাচনের খরচ জোগাতে কোনো কোনো নেতা পদপ্রত্যাশীদের টার্গেট করেছেন বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ২৫(৬) ধারায় বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রত্যেক সম্পাদকীয় বিভাগের কার্যক্রম অধিকতর গতিশীল ও সমন্বিত করার লক্ষ্যে প্রতিটি সম্পাদকীয় বিভাগে একটি করিয়া উপকমিটি গঠন করিবে। উক্ত উপকমিটি একজন চেয়ারম্যান, একজন সম্পাদক, প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশেষজ্ঞ সদস্য, সংশ্লিষ্ট সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং নির্দিষ্ট সংখ্যক সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে।’ আর উপকমিটির সদস্যসংখ্যা সম্পর্কে একই ধারায় বলা হয়েছে, ‘সংগঠনের সভাপতি কর্তৃক উপকমিটির সদস্যসংখ্যা নির্ধারিত হইবে এবং তিনি উপকমিটিসমূহ গঠন করিয়া দিবেন।’
আগে আওয়ামী লীগের উপকমিটিগুলোতে ‘সদস্য’ পদের পরিবর্তে ছিল ‘সহ-সম্পাদক’ পদ। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর এই সহ-সম্পাদক পদ নিয়ে শুরু হয় বাণিজ্য। টাকার বিনিময়ে অনেকেই পদটি বাগিয়ে নেন। অতীতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না কিংবা রাজনীতি করার অভিজ্ঞতা নেই—এমন ব্যক্তিরাও রাতারাতি দলের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক বনে যান। বিভিন্ন জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায়ে রাজনীতি করে কেন্দ্রীয় ‘সহ-সম্পাদক’ পদ পাওয়ার ঘটনাও ঘটে। বাদ যাননি সরকারি চাকরিজীবীরাও। এমনকি বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন—এমন অনেকেই কিছুদিন নিষ্ক্রিয় থাকার পর নানা কায়দায় আওয়ামী লীগের উপকমিটিতে ঢুকে পড়েন।বিস্তারিত