তারুণ্যের জয়গান চলছে দেশে। মোট জনসংখ্যার ৪ ভাগের ১ ভাগ এখন তরুণ, যাঁদের বয়স ১৫ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে। সংখ্যায় ৪ কোটি ৭৪ লাখ। জনশুমারি ও গৃহগণনার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
তারুণ্যের পাশাপাশি দেশে কর্মক্ষম মানুষের পাল্লাও ভারী। মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৬২ শতাংশ মানুষ কর্মক্ষম, যাঁদের বয়স ১৫ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। সংখ্যায় যা ১০ কোটি ৫০ লাখ। পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গতকাল রোববার সমন্বয়কৃত জনসংখ্যার চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়কৃত জনসংখ্যার প্রতিবেদন তুলে ধরেন জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের পরিচালক দিলদার হোসেন। এ সময় আরও বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব শাহনাজ আরেফিন, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক বিনায়ক সেন, বিবিএসের মহাপরিচালক মতিয়ার রহমান প্রমুখ।
তরুণদের সংখ্যা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজারের চাহিদা মাথায় রেখে তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। কেননা, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বা জনমিতির এ সুবিধা বেশি দিন থাকে না।
হাজার কোটি টাকা খরচ করে আর জনশুমারি চান না দুই মন্ত্রী
এ বিষয়ে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমান বাজারব্যবস্থা সামনে রেখে দেশে তরুণ জনগোষ্ঠীকে প্রশিক্ষিত করে তুলতে হবে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাচ্ছে। এতে অনেক চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব সামনে রেখে তারুণ্যকে চাকরির বাজারের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।বিস্তারিত