সরকারকে বড় ধাক্কা দিতে চায় বিএনপি

সরকারকে বড় ধাক্কা দিতে চায় বিএনপি

ঈদুল ফিতরের পর সরকারবিরোধী আন্দোলন আরও বেগবান করবে ১০ দফার ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা বিএনপি। তবে দলটির টার্গেট—সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর—এই তিন মাস। অবশ্য এর আগে জুন-জুলাই থেকেই কর্মসূচির ধরনে পরিবর্তন আসতে পারে। আর সেপ্টেম্বর থেকেই চূড়ান্ত আন্দোলনে যেতে চান নীতিনির্ধারকরা। এবার তৃণমূল থেকে আন্দোলন শুরু করে ধাপে ধাপে সেটিকে রাজধানীমুখী করার চিন্তা রয়েছে হাইকমান্ডের। চলমান আন্দোলনকে ‘চূড়ান্ত রূপ’ দিতে এমন পরিকল্পনা নিয়ে রোডম্যাপ তৈরি করছে বিএনপি। দুই ঈদ এবং বর্ষা মৌসুমের বিষয়টি মাথায় রেখে আন্দোলনের পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে ঈদুল ফিতরের আগেই রূপরেখা চূড়ান্ত করে যুগপৎ শরিকদেরও তা জানিয়ে দেবে বিএনপি। সেই রূপরেখা অনুযায়ী ঈদের পর থেকে আন্দোলন শুরু হবে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিভাগীয় গণসমাবেশে সরকারি প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে আন্দোলনের যে আবহ তৈরি হয়েছিল—ঈদের পরে আন্দোলনকে আবার সে জায়গায় নিতে চায় বিএনপি। তবে দলটির নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি, ‘নির্বাচনকালীন সরকার গঠন’ এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তপশিলের দিকে। বিএনপি মনে করছে, নভেম্বর নাগাদ এই দুটি কাজ সম্পন্ন হবে। দাবি আদায়ে তার আগেই ‘অলআউট’ আন্দোলনে যাবে দলটি, যেটি হবে স্বল্পকালীন সময়ের। সে লক্ষ্যে হাইকমান্ডের নির্দেশে বিএনপি নেতারা এখন সারা দেশে ইফতার মাহফিলের মধ্য দিয়ে নেতাকর্মীদের সংগঠিত ও আন্দোলনের জন্য সংগঠনকে প্রস্তুত করছেন।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কালবেলাকে বলেন, আমরা আন্দোলনে আছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আন্দোলনে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ক্রমেই বাড়ছে। এটা দেখে ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকার ভীত হয়ে পড়েছে। সেজন্য আন্দোলন দমাতে মামলা-হামলা, গ্রেপ্তার, অত্যাচার-নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। সব ফ্যাসিস্ট সরকারই তাই করে; কিন্তু এসব করে এবার আর পার পাওয়া যাবে না। জনগণের চলমান আন্দোলনেই তাদের বিদায় নিতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আন্দোলন চলছে, ক্রমেই তা বেগবান হবে। তবে কোন পর্যায়ে গিয়ে সেটা চূড়ান্ত রূপ লাভ করবে, তা আন্দোলনের পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।বিস্তারিত

রাজনীতি