রাজধানীতে ক্যাসিনো ব্যবসা ভয়ানক আকার ধারণ করার খবরটি প্রকাশ পেয়েছিল ২০১৯ সালে। শুরু হয় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান।
এর আগে মানুষ জানত বিভিন্ন ক্লাবে বা পাড়া-মহল্লায় জুয়া খেলা হয়। কিন্তু জুয়ার আদলে অফলাইন এবং অনলাইন প্ল্যাটফরম ব্যবহার করে ক্যাসিনো ব্যবসা করে অনেকেই রাতরাতি ফুলেফেঁপে ওঠেন।
বিপরীতে কেউ হন পথের ফকির। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে সরকারি দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত অনেক প্রভাবশালীর নাম বেরিয়ে আসে। একে একে গ্রেফতার হন তাদের অনেকেই। কিন্তু জুয়া বা ক্যাসিনো খেলার অপরাধে সুনির্দিষ্ট আইন না থাকায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয় অন্য কোনো অপরাধে। কেউ গ্রেফতার হন মাদকের মামলায়। কেউ অস্ত্র মামলায়। কেউ মানি লন্ডারিং মামলায়। পরে তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান, তদন্ত বা মামলা হয়। কিন্তু ক্যাসিনোয় খেলার অপরাধে তাদের কারও বিরুদ্ধে মামলা বা সাজা দেওয়া সম্ভব হয়নি।
এরপরই প্রশাসনের পক্ষ থেকে জুয়াসংক্রান্ত ১৫৬ বছরের পুরোনো অচল আইনটি নতুন করে প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর অংশ হিসাবে ১৮৬৭ সালের ‘বঙ্গীয় জুয়া আইন’ বাতিল করে একটি নতুন আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে সরকার। নতুন আইনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘জুয়া আইন ২০২৩’। এ আইনে ক্যাসিনো খেলায় জড়িত জুয়াড়ির সর্বোচ্চ শাস্তি ৩ বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড।
জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (আইন ও শৃঙ্খলা) অনুবিভাগের যুগ্মসচিব মো. আব্দুল মতিন যুগান্তরকে বলেন, ক্যাসিনো অপরাধীরা এ আইনের আওতায় আসবে। তবে আইনটি শুধু খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত কি হয় তা চূড়ান্ত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।বিস্তারিত