৭-৮ বছর আগেও স্ট্রবেরি, ড্রাগন ফল ছিল বড় বড় সুপার শপের শৌখিন ফল। প্লেনে বা জাহাজে চড়ে আসত বিদেশ থেকে। ধনীদের বাজারের থলেতে উঠত চড়া মূল্যের বিনিময়ে। বর্তমানে ফুটপাতেই ঝুড়িতে বিক্রি হচ্ছে এসব ফল। বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন হচ্ছে দেশে। কমে এসেছে দাম। শুধু ড্রাগন বা স্ট্রবেরি নয়, দেশের মাটিতে ফলছে মাল্টা, কমলা, আঙ্গুর, অ্যাভোকাডো, রকমেলন, পার্সিমন, রাম্বুটান, চেরি, থাই সফেদা, লংগান, টক আতা, আলুবোখারা, ব্রেড ফ্রুট, নাশপাতি, জাবটিকাবা, সুইট লেমন, থাই পেয়ারা, থাই বারোমাসি আম, থাই মিষ্টি তেঁতুল, থাই কুল, থাই পেঁপে, মালবেরি, ত্বিন, গোল্ডেন ক্রাউন (হলুদ তরমুজ)-সহ অর্ধ শতাধিক বিদেশি ফল। হচ্ছে আবহাওয়া সহনশীল উন্নত জাত উন্মোচনে গবেষণা। সব বিদেশি ফলের ফলন বাংলাদেশের মাটিতে আশানুরূপ না হলেও অন্তত ১০-১৫টি ফল বাণিজ্যিক আবাদে বিপুল সম্ভাবনা দেখছে কৃষি বিভাগ।
ঝিনাইদহের মহেশপুরের রফিকুল ইসলাম বাংলাদেশে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে কমলার চাষ শুরু করেছিলেন। বর্তমানে সারা দেশে কমলার বাণিজ্যিক চাষ হচ্ছে। বাজার সয়লাব দেশি কমলায়। মাল্টারও বাম্পার ফলন হচ্ছে পাহাড়ে। নওগাঁর সাপাহার উপজেলার কৃষি উদ্যোক্তা সোহেল রানা চার বছর আগে তার খামারে অন্যান্য ফলের সঙ্গে ৫০টি মালবেরি চারা লাগান। বর্তমানে তার বাগান কাঁচা-পাকা মালবেরিতে ভরে গেছে। তার থেকে চারা নিয়ে এলাকার অনেকেই লাগিয়েছেন।বিস্তারিত