বাঁচানোই যাচ্ছে না দেশের নদনদী। ১৯৬৭ সালের পর ৪৩ বছরে হারিয়ে গেছে ২০ হাজার কিলোমিটারের বেশি নৌপথ। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে নৌপথ পুনরুদ্ধারে বিশেষ গুরুত্ব দিলেও দৃশ্যমান অগ্রগতি সামান্যই। একদিকে চলছে ড্রেজিং, অন্যদিকে ভাঙন আর উজানের পলি জমে ভরছে নদী। নদীখেকোদের দখল-দূষণেও মরছে নদী। কমে গেছে নদীগুলোর পানি প্রবাহ। অনেক স্থানে ড্রেজিংয়ের বালু ফোরশোরে ফেলে নদী সরু করে ফেলা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক দখল, অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ড্রেজিং, নৌপথ রক্ষায় নামমাত্র বাজেট বরাদ্দ, আন্তসীমান্ত নদীগুলো থেকে পানির ন্যায্য হিস্সা না পাওয়া ও একক কোনো প্রতিষ্ঠান দায়িত্ব নিয়ে নদী নিয়ে কাজ না করায় নদীগুলো বাঁচানো যাচ্ছে না। আর নদী মরলে দেশের কৃষি ও জীববৈচিত্র্য হুমকিতে পড়বে। ভয়াবহ খরার মুখে পড়বে দেশ। ১২২ কিলোমিটার খরস্রোতা করতোয়া নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে উঠেছিল প্রাচীন পুন্ড্রনগরী। পুন্ড্র সভ্যতার সঙ্গে এখন ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নিতে চলেছে করতোয়া নদীও। নদীটির ৪০ কিলোমিটারই এখন মরা নদী। বাকি অংশ কোনো রকমে টিকে আছে। এক সময় ঢাকা থেকে স্টিমারে চড়ে মানুষ যেত চাঁদপুর, বরিশাল, মোংলা হয়ে খুলনা পর্যন্ত। মোংলায় যে স্থানে স্টিমার ঘাট ছিল, সেখানে এখন গড়ে উঠেছে থানা, ঈদগাহ, খেলার মাঠ, রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ২০ বছরে নদীর প্রস্থ কমেছে অর্ধেকের বেশি।বিস্তারিত