আজ ৩ মে। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ। সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার শপথগ্রহণ এবং পেশাগত
দায়িত্ব পালনকালে ক্ষতিগ্রস্ত ও জীবনদানকারী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের লক্ষ্যে সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশেও আজ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হবে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়ে ‘ভবিষ্যতে অধিকার আদায়ের স্বরূপ : মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সব ধরনের মানবাধিকারের চালিকাশক্তি’।
১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ মোতাবেক ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় (৩ মে) তারিখটিকে ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’ অথবা বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্বীকৃতি দেয়া হয়। সে হিসেবে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের ৩০ বছর পূর্তি আজ। এ উপলক্ষে নিউইয়র্কস্থ সদর দপ্তরে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ইউনেস্কো।
মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সব ধরনের মানবাধিকার রক্ষার অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচনা করছে জাতিসংঘ। আন্তর্জাতিক সংস্থাটি মনে করে, টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচি (এসডিজি) বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সব ধরনের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার পূর্বশত।
দিবসটি উপলক্ষে ‘উইন্ডহোক ঘোষণার ৩০ বছর’ শীর্ষক এক বাণীতে এক জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির সময় আমরা বিশ্বব্যাপী যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি- সেগুলো জীবন বাঁচাতে, শক্তিশালী, স্থিতিশীল সমাজ গঠনে নির্ভরযোগ্য, যাচাই করা এবং সর্বজনীন ভূমিকাকে চিহ্নিত করে।
মহামারি এবং জলবায়ুর জরুরি অবস্থাসহ অন্যান্য সংকটময় সময়ে সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমকর্মীরা ক্ষতিকর ভুল এবং মিথ্যাচারকে মোকাবিলাসহ আমাদের দ্রুত পরিবর্তিত ও প্রায়ই অপ্রতিরোধ্য তথ্যের দৃশ্যপট তুলে ধরতে সহায়তা করে।
তিনি বলেন, সাংবাদিকতা হলো একটি গণসম্পদ। মহামারির অর্থনৈতিক প্রভাব অনেক প্রচার মাধ্যমকে কঠোরভাবে আঘাত করেছে, যা তাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। এছাড়া বাজেট সংকটের সঙ্গে সঙ্গে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়াও কঠিন হচ্ছে। এ শূন্যস্থান পূরণ করতে গুজব, মিথ্যা এবং চূড়ান্ত বা বিভাজিত মতামত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমি সব সরকারকে তাদের ক্ষমতানুযায়ী একটি মুক্ত, স্বাধীন এবং বহুমুখী প্রচার মাধ্যমকে সমর্থন করার জন্য সবকিছু করার আহ্বান জানাচ্ছি।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ভুল তথ্য এবং অপপ্রচাররোধে মুক্ত এবং স্বাধীন সাংবাদিকতা আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। জাতিসংঘ সাংবাদিক নিরাপত্তাবিষয়ক কর্মপরিকল্পনার লক্ষ্য হচ্ছে, বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা। কারণ তথ্য হচ্ছে একটি গণসম্পদ। আজ আমরা একটি মুক্ত, স্বাধীন এবং বহুত্ববাদী আফ্রিকান সংবাদমাধ্যম উন্নয়নের জন্য উইন্ডহোক ঘোষণাপত্রের ৩০তম বার্ষিকী উদযাপন করছি।