আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপে নির্বাচনী প্রচারে মুখর হয়ে উঠেছে নেত্রকোনার পাঁচটি নির্বাচনী এলাকার রাজনীতির মাঠ। কিন্তু নির্বাচনী মাঠে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা যতটা সরব, বিএনপির প্রার্থীরা ততটা নয়। তবে দলগতভাবে এ জেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দু’দলই শক্তিশালী। জাতীয় পার্টির (এরশাদ) কমিটি থাকলেও অবস্থান ততটা সুদৃঢ় নয়। জামায়াত পুরো কোণঠাসা। বাদবাকি দলগুলোর হাতেগোনা কয়েকটার অস্তিত্ব আছে, বেশিরভাগেরই অস্তিত্ব নেই। দ্বাদশ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ তাদের আসনগুলো ধরে রাখতে চায়। অন্যদিকে বিএনপি চায় তাদের হারানো আসন পুনর্দখল করতে। লক্ষ্য বাস্তবায়নে দু’দলই মরিয়া।
নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) :
সীমান্তবর্তী ও আদিবাসী অধ্যুষিত দুই উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত নেত্রকোনা-১ আসন। নবম সংসদে এ আসনের এমপি ছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও আনন্দমোহন কলেজের সাবেক ভিপি মোশতাক আহমেদ রুহী। দশম নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাননি। তার বদলে আওয়ামী লীগের টিকেটে নির্বাচিত হন বাংলাদেশ কৃষকলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ছবি বিশ্বাস। মনোনয়নবঞ্চিত রুহী এবং সাবেক এমপি জালাল উদ্দিন তালুকদারের পুত্র শাহ কুতুবউদ্দিন তালুকদার রুয়েল তখন স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখেও ওই তিন জনসহ মনোনয়ন যুদ্ধে নেমেছেন আওয়ামী লীগের মোট ১৪ প্রার্থী। ছবি বিশ্বাস সাবেক এমপি হিসেবে নিয়মিত সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। অন্যদিকে সাবেক এমপি মোশতাক আহমেদ রুহীও মনোনয়নের ব্যাপারে আশাবাদী। গত নির্বাচনে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ কুতুবউদ্দিন তালুকদার রুয়েলের পক্ষেও গণসংযোগ করছেন তার কর্মীসমর্থকরা। তিনবারের সাবেক এমপি জালাল তালুকদারের পুত্র হিসেবে তিনি সুপরিচিত। এদিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও আদিবাসী নেতা উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেংও দলীয় মনোনয়ন পেতে চান। আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী বর্তমান সংসদ সদস্য মানু মজুমদার। এছাড়া কলমাকান্দা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মো. ফখরুল ইসলাম ফিরোজ, আজমল হোসেন পাইলট ও মনোনয়নের জন্য তৎপর।বিস্তারিত