আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে দুর্বল হয়ে মিয়ানমারের সিতওয়ে অবস্থান করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি সেদেশটির স্থলভাগের আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যাবে।
এছাড়াও আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের ভূখণ্ড থেকে চলে গেছে।
সংস্থাটির পরিচালক আজিজুর রহমান রবিবার রাত আটটায় জানান, ”এটা আমাদের দেশ থেকে পুরোপুরি চলে গেছে। আমাদের ভূখণ্ডে এটার আর কোন অস্তিত্ব নেই।”
এদিকে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, পায়রা এবং মোংলা সমুদ্র বন্দরে মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
তবে আপাতত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ঢাকাসহ ৪ বিভাগে ভারী বর্ষণের আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আসাদুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজধানীতে বৃষ্টি হয়নি। তবে সন্ধ্যার পর থেকে পরবর্তী ছয় ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় বৃষ্টিসহ বজ্রপাতের শঙ্কা রয়েছে।