বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে আওয়ামী লীগের অন্তকোন্দলকে কেন্দ্র দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
শনিবার বিকেলে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামিলীগের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এসময় সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিক উজ্জ্বল অধিকারী মারধর ও আব্দুর রাজ্জাক বাবুকে লাঞ্ছিত করে এমপি গ্রুপের লোকজন।
আহতরা হলেন, এমপি গ্রুপের আওয়ামী লীগ নেতা আলমাসুর রহমান শিকদার, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পাভেল শেখ, যুব মহিলালীগের সভাপতি সুমা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার, অর্থ সম্পাদক আন্না খাতুন, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুলতানা রাজিয়া মিলন, সাবেক শ্রমিকলীগ নেতা মোতালেব সরকার।
রেজা গ্রুপের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শিপন আহাম্মেদ, যুবলীগ নেতা রিপন বাবু, মনসুর আহাম্মেদ, সাব্বির হোসেন, নাবিন মন্ডল, আব্দুস সালাম, রতন, ওমর ফারুকসহ অন্যান্যরা।
বেলকুচি পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তার হামিদ জানান, আজ উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের নির্দেশনা অনুযায়ী ঘুর্ণঝর মোখা মোকাবেলায় ভূমিকা ও স্থানীয় পৌর মেয়রের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোরন নিয়ে অপপ্রচার চালানোর প্রতিবাদ জানিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে পৌর ছাত্রলীগ সামাবেশ ডাক দেয়। কিন্তু সমাবেশ শুরুর আগেই মেয়র রেজা ও তার সমর্থকেরা আওয়ামীলীগ কর্যালয়ে এসে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের অকর্থ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে এটি এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রুপ নেয়। তাতে বেশকিছু নেতাকর্মী আহত হয়।
এ বিষয়ে বেলকুচি পৌরসভার মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা বলেন, দুপুর তিনটায় বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে চা চক্র ও রাজনৈতিক আলোচনা করতেছিলাম। এমন সময় এমপি আব্দুল মোমিন মন্ডলের অনুসারীরা পরিকল্পিতভাবে পিএস সেলিমের নেতৃত্বে বেলকুচি থানার ওসির সহযোগিতায় আমাদের নেতা কর্মীর উপরে সন্ত্রাসী হামলা চালায়।
বেলকুচি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন জানায়, উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এবিষয়ে আপনাদের বিস্তারিত পরে জানানো হবে।