স্মার্টফোন আসক্তি হুমকির মুখে শিশুদের ভবিষ্যৎ

স্মার্টফোন আসক্তি হুমকির মুখে শিশুদের ভবিষ্যৎ

খলিল ও সালমা দম্পত্তি মেয়ে মাইশা। এক বছর থেকে শিশু কান্না করলেই স্মার্টফোন দিতেন তারা। স্মার্টফোন দেখেই কান্না থেমে যেত মাইশার। একইভাবে খেতে না চাইলেও ফোন দেখতে দিয়ে মেয়েকে খাবার খাওয়াতেন। ফলে পাঁচ বছরের শিশুটি এখন এলোমেলো কথা বলে। স্কুলে ভর্তি করালেও ঠিকমতো অন্যদের সাথে মিশতে পারে না। আর এ কারণে মেয়ে মাইশার চিকিৎসার জন্য স্পিচ এইড বাংলাদেশ এসেছেন তারা। এ রকম সমস্যাগ্রস্ত অনেক পরিবার এখানে আসেন চিকিৎসা নিতে। স্মার্টফোন আসক্তি থেকে বেশির ভাগ শিশুর কথা না বলা বা অসংলগ্ন কথা বলার সমস্যা দেখা যায়। স্পিচ এইড বাংলাদেশের কো-অর্ডিনেটর কৌশিক কবির জানান, প্রতি মাসে অর্ধশতকের মতো এমন নতুন রোগী পায় প্রতিষ্ঠানটি।

চিকিৎসকরা বলছেন, স্মার্টফোনের অনেক উপকার থাকা সত্ত্বেও এর অপব্যবহারের বিষয়টি সর্বত্র গুরুত্ব পাচ্ছে। অতিরিক্ত স্মার্টফোনের ব্যবহার আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। অল্প বয়সে বেশিক্ষণ স্মার্টফোনের দিকে তাকিয়ে থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে চোখের কর্নিয়া-রেটিনাসহ বিভিন্ন অংশ। মোবাইলফোন আসক্তি শিশুদের ভাষা বিকাশে ব্যাঘাত ঘটায়। এ ছাড়া শিশুদের মধ্যে বিষণ্নতা, মনোযোগহীনতা তৈরি করে। স্মার্টফোনের প্রতি অতিরিক্ত আকর্ষণ মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষকে ধীরে ধীরে প্রভাবিত করে নেশার জন্ম দেয়। অক্সিকনটিন জাতীয় পেইনকিলারের সঙ্গে এই নেশার তুলনা করা যেতে পারে বলে জানান চিকিৎসকরা। যা সেবনে আফিম সেবনের মতো প্রভাব সৃষ্টি করে এবং তা সাধারণত ব্যথা উপশমের জন্য ব্যবহার করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সময় কাটালেও একইভাবে একাকিত্বের জন্ম দেয়, সামাজিকতা নষ্ট করে।বিস্তারিত

 

তথ্য প্রুযুক্তি