অনার্স শেষ করেই ২০১৫ সালে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বাপেক্স) ‘সহকারী ব্যবস্থাপক (সাধারণ)’ পদে আবেদন করেছিলেন সুরভী খানম। এরপর মাস্টার্সের পাট চুকিয়ে সুরভী বিয়ে করে এখন কন্যাসন্তানের মা। ভুলেই গিয়েছিলেন বাপেক্সে আবেদনের কথা। ২০২২ সালের জুলাইয়ে ৭ বছর পর আচকা লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র যায় তাঁর গ্রামের বাড়ির ঠিকানায়। ঢাকায় এসে সেই পরীক্ষায় অংশও নেন তিনি। এরপর লিখিত পরীক্ষার ফলের আর খোঁজ নেননি সুরভী। বাপেক্স অফিসে গিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি এ লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে, তবে মৌখিক পরীক্ষা কবে হবে তা এখনও অজানা।
সুরভী খানমের মতো অনেকেই সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ার এমন গতিহীন ঘূর্ণিতে পড়ে হাঁপিয়ে উঠছেন। খোদ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বারবার তাগাদা দিয়েও সরকারি নিয়োগে গতি আনতে পারছে না। পড়াশোনা শেষ করে সবাই সরকারি চাকরির পেছনেই ছোটেন। একদিকে সীমিত পদের কারণে তুমুল প্রতিযোগিতা, অন্যদিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সময় ক্ষেপণে নিরাশ চাকরিপ্রত্যাশীরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিয়োগ কার্যক্রমে শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনাগ্রহ, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপ, দুর্নীতি এবং মামলাসংক্রান্ত কারণে সরকারি নিয়োগে এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
নিরাশার মধ্যেও আশার খবর হলো– বিসিএসের গতি বাড়াতে এবং নিয়োগের সময় কমিয়ে আনতে গত ১১ মে সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) নতুন চার সদস্য নিয়োগ দিয়েছে সরকার।বিসতারিত