সামাজিক সুরক্ষা নিয়ে সরকার আইএমএফ মুখোমুখি

সামাজিক সুরক্ষা নিয়ে সরকার আইএমএফ মুখোমুখি

সরকারি গবেষণা সংস্থা বিআইডিএস বলছে, দেশে নতুন করে দেড় কোটি মানুষ হতদরিদ্রের শিকার হয়েছেন। এর কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে বৈশ্বিক অচলাবস্থা ও করোনা মহামারি। বাংলাদেশের এই বিপুলসংখ্যক দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনতে প্রতি বছর বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো হয়। এ বছরও এ খাতে প্রায় ৬ শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রস্তাব করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

অর্থবিভাগের সূত্রগুলো বলছে, প্রতি বছর বাজেটের সময় দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আর্থিক সেবার আওতায় আনতে সামাজিক নিরাপত্তা খাতকে বিস্তৃত করার পরিকল্পনা করে সরকার। কিন্তু তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিয়ে প্রায় সব সময় প্রশ্ন তুলে আসছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। অব্যাহত অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের অর্থের অপচয় ঘটে এমন অভিযোগ তোলেন বিশ্লেষকরা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২১ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। এর মধ্যে ১৪ লাখ সক্রিয় রয়েছেন। বাকিরা নানা কারণে ছুটি, অবসরে রয়েছেন। এই অবসরকালীন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকার (অবসরকালীন ভাতা) পেনশন দিয়ে আসে, যা সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যয় হিসেবে দেখানো হয়। আইএমএফ এটাকে সামাজিক নিরাপত্তার বাইরে হিসাব করার পরামর্শ দিয়ে আসছে। কিন্তু সরকার তা আমলে নিচ্ছে না। আসছে বছরের (২০২৩-২৪) বাজেটেও পেনশনভোগীদের সামাজিক সুরক্ষা খাতের মধ্যেই দেখাতে চায় সরকার। তবে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের বিপরীতে আইএমএফ সরকারকে কিছু শর্ত দিয়েছে, যা পরিপালনও করছে সরকার। এর অংশ হিসেবে গ্যাস-বিদ্যুতের দামও বাড়ানো হয়েছে। তবে বিপত্তি বেধেছে সামাজিক সুরক্ষা খাত নিয়ে। এই তহবিল প্রতি বছর বাড়ানোর সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে আইএমএফ। সংস্থাটি বর্ধিত ঋণ সুবিধার (ইসিএফ) ঋণের শর্তে বলা হয়েছে, চলতি বছর মার্চের মধ্যে ৬০ কোটি ৫ লাখ টাকা, জুনে ১০৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা, সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১৫ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ডিসেম্বরের শেষে ৩০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বাড়াতে হবে।বিস্তারিত

অর্থ বাণিজ্য জাতীয়