নদী পারাপারে ভরসা বাঁশের সাঁকো-নৌকা ৫০ বছরেও হয়নি সেতু

নদী পারাপারে ভরসা বাঁশের সাঁকো-নৌকা ৫০ বছরেও হয়নি সেতু

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

সখীপুরের ১৬ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো ও নৌকা। উপজেলার সীমান্তবর্তী বংশাই নদীর বড়ইতলা এলাকায় সেতু না থাকায় প্রায় ৫০ বছর সেতু না হওয়ায় এ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা। সাঁকো ও নৌকা দিয়েই এই এলাকার বাসিন্দারা স্কুল-মাদরাসা ও সাপ্তাহিক হাট-বাজারে যাতায়াত করেন। সরেজমিন দেখা যায়, সখীপুর উপজেলার দাড়িয়াপুর, কৈয়ামধু, আকন্দপাড়া, নয়াপাড়া, দোপাপাড়া, কাছারপাড়া, আবাদী, মাজারপাড়া, সারিপ্যাচ, খালপাড়া এবং বাসাইলের গিলাবাড়ি, কল্যাণপুর, ডুংলিপাড়া, বার্তা, কাউলজানি ও সুন্ন্যা গ্রামের মানুষের চলাচলের মাধ্যম বংশাই নদীর বাঁশের সাঁকো অথবা নৌকা। গর্ভবতী মা, বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থ মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হয় সাঁকো দিয়ে। সেতুর দাবিতে মানববন্ধনসহ গণ্যমান্যরা বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধিদের কাছে গেলেও শুধু প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন বলে জানান এলাকাবাসী। বড়ইতলা গ্রামের আবদুল জলিল মিয়া বলেন, বয়স্ক ও গর্ভবতীদের নিয়ে সাঁকো পারাপারের সময় সবাই আতঙ্কে থাকে। বর্ষার সময় নৌকা আর সারা বছর সাঁকো দিয়েই চলাচল করতে হয়। এসএ উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সানোয়ার হোসেন বলেন, সাঁকো ও নৌকা দিয়ে পারাপারের সময় প্রায়ই শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বড়ইতলা এলাকায় একটি সেতু হলে অনেক গ্রামের মানুষের উপকার হতো। সখীপুরের ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম বলেন, বছরের পর বছর আমরা একটি সেতুর জন্য জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের কাছে আবেদন করেছি। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে কোনো সেতু নির্মাণ হয়নি। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ বলেন, আমরা গ্রামের সাধারণ মনুষের জন্য বড়ইতলা এলাকায় সেতু নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের কাছে বহু আবেদন-নিবেদন করেছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কবে হবে এমন কোনো আশ্বাসও পাইনি। আমরা এখনও দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছি।

জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম  বলেন, বর্তমানে অনেক ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণকাজ চলছে। আরও কিছু ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আশা করছি তার মধ্যে বড়ইতলায় সেতুর কাজও থাকবে।

সারাদেশ