রাজনৈতিক দু-একটি ইস্যুতে কথা-পাল্টা কথা থাকলেও বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো ধরনের সংকট দেখছেন না ঢাকা-ওয়াশিংটনের কূটনীতিকরা। তাঁরা বলছেন, সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলোতে ঘনিষ্ঠভাবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই এগিয়ে যাচ্ছে সম্পর্ক। কয়েক ধরনের প্ল্যাটফরমে ইস্যুভিত্তিক এসব আলোচনা চলছে নিয়মিতই। এর অংশ হিসেবে কর্মকর্তা পর্যায়ে সফর বিনিময় বেড়েছে ঢাকা-ওয়াশিংটনের মধ্যে। এর অংশ হিসেবে শ্রমমান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের একটি দল এখনো ঢাকা সফর করছেন। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে নিষেধাজ্ঞার কোনো ইস্যু দেখছেন না কেউ। যুক্তরাষ্ট্রের আরও নিষেধাজ্ঞা আসছে কি না জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে ‘বিস্তৃত ও গভীর’ সম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং এ সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে চায়। ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে বিস্তৃত ও গভীর সম্পর্ক বজায় রেখেছে, যা আমরা আরও এগিয়ে নিতে চাই। ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে সরাসরি কিছু বলা না হলেও মন্তব্য করেছেন সরকারের একাধিক সিনিয়র মন্ত্রী।
এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাক গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, আমার ধারণা তারা স্যাংশনস (নিষেধাজ্ঞা) দেবে না। তারা বাস্তবতাটা বুঝবে। তারা একটা সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে আমাদের সহযোগিতা করবে। পৃথিবীর কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই। বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আওতায় নির্বাচন হতে হবে, সেটা কোনো দিনই হবে না। সংবিধানবহির্ভূত কিছু হবে না। তবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচন হওয়া দরকার।বিস্তারিত