দুই বছর আগে ঠিক আজকের দিনে বাজারে এক কেজি খোলা আটার দাম ছিল ৩০ থেকে ৩২ টাকা। গতকাল রোববার সেই একই আটা বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি। হিসাবটি সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি)।
আটার মতো চাল, ডাল, তেল, চিনি, আদা, রসুন, ডিম, মাছ, গরুর মাংস ইত্যাদি নিত্যপণ্যের দাম যেন মগডালে উঠেছে। দৈনন্দিন দামে কিছুটা হেরফের হয়। কিছুটা কমে, কিছুটা বাড়ে। কিন্তু বাজার আগের দামে যাচ্ছে না। এমনকি আগের দরের কাছাকাছি দামেও কিনতে পারছেন না ক্রেতারা।
কারণ যেটাই হোক, দিন শেষে মানুষকে উচ্চ মূল্যে এসব নিত্যপণ্য কিনতে হচ্ছে। স্বল্প আয়ের মানুষ এতে চাপে পড়েছে। কারণ, মূল্যস্ফীতির তুলনায় মজুরি বাড়ছে কম হারে।
অনেক ক্ষেত্রেই বিশ্ববাজারের দামকে অজুহাত হিসেবে দেখানো হচ্ছে। কিন্তু বিশ্ববাজারে দাম কমলেও দেশে তেমন কমছে না। সয়াবিন তেলের বাজার পরিস্থিতিটি দেখা যাক। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, সাম্প্রতিককালে সয়াবিন তেলের সর্বনিম্ন দর ছিল ২০২০ সালে প্রতি টন গড়ে ৮৩৮ মার্কিন ডলার। ২০২২ সালের এপ্রিল-জুন সময়ে সয়াবিন তেলের গড় দর ১ হাজার ৮৮৭ ডলারে ওঠে। গত এপ্রিলে একই দর ১ হাজার ৩০ ডলারে নেমেছে।
এই হিসাবে বিশ্ববাজারে সর্বোচ্চ দামের তুলনায় সয়াবিন তেলের দর ৪৫ শতাংশ কমেছে। দেশের বাজারে গত বছরের জুনে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম সর্বোচ্চ ২০৫ টাকায় ওঠে। এখন তা সরকারিভাবে নির্ধারিত আছে ১৯৯ টাকা লিটার। কমেছে ৩ শতাংশ। ভোজ্যতেলের দাম বিশ্ববাজার অনুযায়ী না কমার কারণ হিসেবে মার্কিন ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি ও মূল্য সংযোজন করে (মূসক/ভ্যাট) ছাড় উঠে যাওয়াকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।বিস্তারিত