সরকারের একটি নির্দিষ্ট সময়ের আয়-ব্যয়ের খতিয়ান হচ্ছে বাজেট। বাংলাদেশে বাজেটের অন্যতম সমস্যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় রাজস্ব আদায় কম। এই আয় বাড়ানোই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এটি মোকাবিলায় সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এক্ষেত্রে করফাঁকি রোধ এবং নতুন করদাতা বাড়াতে হবে। এছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে এবার বরাদ্দ বাড়াতে হবে। যুগান্তরের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। তিনি মনে করেন, অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কাম্য নয়। এছাড়া খেলাপি ঋণ কমাতে না পারলে অদূর ভবিষ্যতে অর্থনীতিতে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হবে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার মনির হোসেন
যুগান্তর : বর্তমানে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে?
মির্জ্জা আজিজ : সামষ্টিক অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা। অনেকদিন থেকে প্রবৃদ্ধি ৭-৮ শতাংশে ছিল। ইতোমধ্যে এই হার কিছুটা কমে গেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) অন্যান্য বৈশ্বিক সংস্থা বলছে, এবার প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ ৩ থেকে সাড়ে ৫ শতাংশের মধ্যে থাকবে। এটি আমাদের জন্য ভালো খবর নয়। দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হলো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। ইতোমধ্যে মূল্যস্ফীতি প্রায় ৯ শতাংশে পৌঁছেছে। এর ফলে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর কিছুটা যৌক্তিক কারণও আছে। বৈশ্বিক পরিস্থিতি ভালো নয়। তবে আশার কথা হলো বিশ্ববাজারে অনেক পণ্যের দাম এখন কিছুটা কমতে শুরু করেছে। উন্নত দেশগুলো তাদের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবস্থা নিচ্ছে। এটি আমাদের জন্য ইতিবাচক। কারণ বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি আমাদের প্রভাবিত করে। কাঁচামাল, মধ্যবর্তী পণ্য, মূলধনী যন্ত্রপাতি এবং কিছু খাদ্যও আমরা আমদানি করে থাকি। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে আমরা সম্পৃক্ত। তবে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কাম্য নয়।বিস্তারিত