বাংলাদেশ আজ বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতিকে সমর্থন করে। কারণ দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে যারা সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে ওয়াশিংটন এমন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করার জন্য একটি আগাম সতর্কতা জারি করেছে।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের ঘোষণার প্রতি ঢাকার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “নতুন মার্কিন নীতি বরং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে।”
তিনি বলেন, “নীতিটি ভালো, এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।” তিনি আরো বলেন, এটি বাংলাদেশ সরকারের ওপর কোনো বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেনি যখন ওয়াশিংটনের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক চমৎকার রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা করছেন যে, নতুন মার্কিন ভিসা নীতি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে নির্বাচন নিয়ে কোনও সহিংসতা না করতে সতর্ক করবে। কারণ “এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন দলের জন্য নয়, বরং বিরোধীদের জন্যও”।
তিনি বলেন, সরকার অগ্নিসংযোগ, সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ চায় না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বুধবার বলেছে যে, তারা বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা সীমিত করবে যারা নির্বাচনকে ক্ষুণœ করবে। দৃশ্যত ২০২৪ সালের জানুয়ারির শুরুতে আসন্ন নির্বাচনকালে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কায় এটি একটি পূর্ব সতর্কতা। বিস্তারিত