খেলাপি ঋণ আদায় হচ্ছে না কেন

খেলাপি ঋণ আদায় হচ্ছে না কেন

ব্যাংকিং খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কঠোর আইনি ব্যবস্থা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও অঙ্গীকার না থাকায় খেলাপি ঋণ আদায় হচ্ছে না। আমলে নেওয়া হচ্ছে না ব্যাংক খাত সংস্কারে অর্থনীতিবিদদের সুপারিশ। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো উল্লিখিত পন্থায় খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। ব্যাংকাররা বলেছেন, খেলাপি ঋণ আদায়ে সামাজিক প্রতিশ্রুতি, অর্থঋণ আদালতের জনবল বৃদ্ধি ও বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন। আমাদের প্রস্তাব মেনে নিলে দুই বছরের মধ্যে খেলাপি ঋণ শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্য মতে, গত বছরের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা। খেলাপির হার দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ, যা আগের বছর ছিল ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। খেলাপির হার বৃদ্ধির সঙ্গে এক বছরে খেলাপি ঋণের পরিমাণও বেড়েছে ১৭ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা। এর বাইরেও অবলোপনকৃত ঋণ, পুনঃতফসিল ও আদালতের নিষেধাজ্ঞায় খেলাপি দেখাতে না পারায় সব মিলিয়ে প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ আড়াই লাখ কোটি টাকারও বেশি। সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে খেলাপি ঋণের হারে শীর্ষে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। দেশটির খেলাপি ঋণ ১০ দশমিক ৯ শতাংশ। এর পরের অবস্থান বাংলাদেশের, খেলাপি ঋণ ৯ দশমিক ৪ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম খেলাপি ঋণের দেশ নেপাল। দেশটির খেলাপি ঋণ ২ শতাংশের কম। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের খেলাপি ঋণ বাড়ছে।বিস্তারিত

অর্থ বাণিজ্য