নতুন ভিসানীতি নিয়ে ফের উত্তপ্ত রাজনীতি। প্রায় দেড় যুগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপিও নিজেদের নতুনভাবে উপস্থাপনে কৌশল ঠিক করছে। মাঠের কর্মসূচিতে নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণে শক্ত অবস্থানে রয়েছে দলটি। বএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, এবার আর তাদের পিছে হটার সুযোগ নেই। শেষ বেলায় সরকারকে মরণ কামড় দেবে। হাইকমান্ড থেকে প্রস্তুতি নেয়ার বার্তা দেয়া হয়েছে। কোরবানি ঈদের পর থেকেই একদফা নিয়ে মাঠে নামবে। সেপ্টেম্বরে দেয়া হবে ‘অলআউট’ কর্মসূচি। ইতোমধ্যে গতকাল থেকে জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ১৩ দিনের কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আগামী ১০ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’। বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এবং দুই অঙ্গসংগঠন যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল— এই সমাবেশের আয়োজন করবে।
দলটির শীর্ষ নেতাদের পর্যবেক্ষণ, সরকার এখনো গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালনে বিএনপিকে বাধা দিচ্ছে। সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায় চৌধুরী সমপ্রতি কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালনে হামলার শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া চলছে মাঠপর্যায়ের নেতাদের গ্রেপ্তার। সরকার কোনো চাপকেই তোয়াক্কা করছে না। মাঠের আন্দোলন ছাড়া বিএনপির আর উপায় নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায়ে কঠোর কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। গেলো সপ্তাহে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠকে সরকার পতনের সর্বাত্মক আন্দোলনে কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সমমনা দলগুলোও একসঙ্গে মাঠে নামবে। এক দফার আন্দোলনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে কারো দ্বিমত নেই। ঢাকাকে দেয়া হচ্ছে অধিক গুরুত্ব। ঘোষণা আসতে পারে বৃহৎ অবস্থান কর্মসূচিরও। যারা সংসদ সদস্য প্রার্থী হতে আগ্রহী তাদের নিয়ে সংসদ ভবন ঘেরাওয়ের কর্মসূচিরও চিন্তা রয়েছে দলটির।বিস্তারিত